X
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নিতে আসেনি পরিবার, ৮ লাশ মর্গে

জাকিয়া আহমেদ
২০ মার্চ ২০১৭, ০৮:১০আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৭, ১৬:০৭

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের হিমাগারে পড়ে আছে সাত জঙ্গির লাশ। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে গত ১৮ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে নিহত এসব জঙ্গির লাশ নিতে মর্গে যায়নি কেউই।
মর্গের হিমাগারে পড়ে থাকা লাশগুলো হলো নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ওরফে মেজর জাহিদ ওরফে মুরাদ, নব্য জেএমবির অন্যতম কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান, নব্য জেএমবির উত্তরবঙ্গের প্রধান সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল, শাকিরা ওরফে তাহিরা, কিশোর জঙ্গি আফিফ কাদরি এবং দুই আত্মঘাতী জঙ্গির।
সাত জঙ্গির লাশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসব লাশ শনাক্ত করতে কিংবা নিতে কেউ আসেনি আমাদের কাছে। লাশগুলো হিমাগারেই পড়ে আছে।’
মরদেহ সাতটির মধ্যে দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত ১৭ মার্চ আশকোনায় র‌্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় এক জঙ্গি। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ১৮ মার্চ ভোরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তল্লাশি চৌকি পার হওয়ার সময় থামার সংকেত দেওয়ার পরও তা অমান্য করায় র‌্যাবের গুলিতে নিহত হয় আরেক ‘জঙ্গি’।

এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের অভিযানে নিহত হয় তাহিরা ও আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরির কিশোর ছেলে আফিফ। তারও আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর বাসায় চালানো অভিযানে নিহত হয় মেজর জাহিদ। এর মধ্যে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম। নিহত সাদ্দামকে আসামি করে ছিল ১০টি মামলা।

এদিকে র‌্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে গত ১৭ মার্চ আত্মঘাতী হামলার পরে পুরো এলাকায় অভিযান চালায় র্যা ব। এ সময় আবু হানিফ মৃধাকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আবু হানিফের। প্রথমে তার গ্রেফতারের বিষয়টি র‌্যাব অস্বীকার করলেও ২৪ ঘণ্টা পর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে তার লাশ পাঠায় র‌্যাব। ময়নাতদন্ত শেষে তা হিমাগারেই রাখা হয়েছে। তার লাশ নিতেও এখন পর্যন্ত কেউ মর্গে যায়নি।

/জেইউ/টিআর/জেএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিএনপি জনগণকে ভয় পায় বলেই ভোটে আসে না: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বিএনপি জনগণকে ভয় পায় বলেই ভোটে আসে না: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ইরানের প্রেসিডেন্টের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
ইরানের প্রেসিডেন্টের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
উপজেলা নির্বাচনেও জনগণের সায় নেই: মির্জা ফখরুল
উপজেলা নির্বাচনেও জনগণের সায় নেই: মির্জা ফখরুল
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে কলম্বো স্ট্রাইকার্সে তাসকিন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে কলম্বো স্ট্রাইকার্সে তাসকিন
সর্বাধিক পঠিত
১০০ লিচু ১০০০ টাকা, তবু দুশ্চিন্তায় এই গ্রামের চাষিরা
১০০ লিচু ১০০০ টাকা, তবু দুশ্চিন্তায় এই গ্রামের চাষিরা
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ছুটি ছাড়াই ২৩ মাস কর্মস্থলে আসেননি সরকারি এই কর্মচারী
ছুটি ছাড়াই ২৩ মাস কর্মস্থলে আসেননি সরকারি এই কর্মচারী
পাউবোর দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পাউবোর দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সংসদীয় কমিটির তোপের মুখে টেলিটক
সংসদীয় কমিটির তোপের মুখে টেলিটক