বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের অভিযোগ, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি বানচাল করতেই জঙ্গিদের তৎপরতার ইস্যু সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকার চায় না দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর হোক। এর প্রামাণও আছে। গণমাধ্যমে হানিফ মৃধা, সোহেলদের মা ও স্ত্রীদের মর্মস্পর্শী কান্নায় জনগণের কাছে জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকারের রহস্যজনক ভূমিকা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। মঙ্গলবার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন রিজভী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘জঙ্গীবাদ জাতীয় নির্বাচনের অন্তরায়’ বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, জঙ্গি হামলার বেনিফিসিয়ারি কারা? কারা জঙ্গিবাদকে জিইয়ে রেখে দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে? এ বিষয়টি জনগণের কাছে এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে গোপনে দেশবিরোধী চুক্তি করে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। কারণ দেশবিরোধী চুক্তি গোপনেই সম্পন্ন করতে হয়। বর্তমান সরকারও সেই কাজটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে প্রতিরক্ষা বিষয়ে যা হতে যাচ্ছে তা গোপন রাখার জন্যই সরকারের মন্ত্রীরা অসত্য কথা বলছেন। ইংরেজি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার মালিক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। এটা স্পষ্ট যে, সরকারের ইশারাতেই ওই প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে দেশের স্বাধীনতা-সর্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। এই প্রতিরক্ষা চুক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সর্বভৌমত্ব সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা নিয়ে কখনোই ছিনিমিনি খেলতে দেবে না জনগণ।’
/এসটিএস/এসটি/