ইতিহাসে স্থান পাওয়া ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের গণহত্যার চেয়েও ভয়াবহ ছিল বাংলাদেশের গণহত্যা। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার মানুষ হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ধর্মের নামে তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছিল।
শনিবার তেজগাঁও সিএসডি চত্বরে স্বাধীনতা স্তম্ভ ‘বিজয় ৭১’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, মোহাম্মদপুর সহ এমন কোনও এলাকা ছিল না যেখানে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা হামলা করেনি। রেললাইনের পাশের বস্তিতে আগুনে দিয়েছিল তারা। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে ছোটাছুটি করা মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল। ঢাকার নয়াবাজার, ইংলিশ রোড, চকবাজারের বিভিন্ন স্থান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সোনার দোকান লুট করে দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।’
সেসব দিনের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের মানুষ বুড়িগঙ্গা পার হয়ে কেরানীগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছিল। পাকসেনারা বুড়িগঙ্গা নদী থেকে শেল নিক্ষেপ করেছিল। পাক হানাদাররা ২৫ মার্চ রাত থেকে শুরু করে জঘন্যতম গণহত্যা। এরপর দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ চলে। মুক্তিযুদ্ধ যখন প্রায় শেষ, তখন দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তারা। এগুলো যারা অস্বীকার করে তারা জ্ঞানপাপী।’
২৫ মার্চের স্মৃতিচারণ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের গণহত্যার চেয়েও ভয়াবহ ছিল ২৫ মার্চের গণহত্যা। অথচ ইতিহাসে আমাদের এই গণহত্যাকে সেভাবে স্থান দেওয়া হয়নি। আমরা চাই এই গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাক। সে লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি, আমরা সফল হবোই।’
‘বিজয় ৭১’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব কায়কোবাদ হোসেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল হালিম প্রমুখ।
ওএফ/এএআর/