উড়ন্ত বিমানে প্রথমে বাকবিতণ্ডা তারপর হাতাহাতি করেছেন যাত্রীরা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় পুরো ফ্লাইটের বিমানের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাতে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশগামী বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে (বিজি-০৩৮) এমন ঘটনা ঘটে। ফ্লাইটে থাকা যাত্রী ও বিমান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় বিমানে ফ্লাইটি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে হয়ে ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ছাড়ার আগ মুহূর্তে বিমানের কার্গোডোরের লক কাজ না করায় ফ্লাইটটি আর ছেড়ে যায়নি। সেই ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের অভিযোগ জেদ্দা বিমানবন্দরে বিমানের কোনও কর্মকর্তা স্থানীয় সময় ১২টা পর্যন্ত যাত্রীদের খোঁজ খবর নেয়নি। পরবর্তীতে যাত্রীদের জানানো হয়, ফ্লাইটি ২৬ মার্চ সকালে জেদ্দা থেকে বিমানটি ছাড়বে। যাত্রীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়। ২৬ মার্চ সকাল ১১টায় বিমানটি জেদ্দা ছাড়ে। বাংলাদেশের কাছাকাছি আসলে ক্যাপ্টেন ঘোষণা করেন সরাসরি চট্টগ্রামে না গিয়ে ঢাকায় নামবে তারা। এ ঘোষণার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের যাত্রীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। বিমানের ক্রুরা যাত্রীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হোন। একপর্যায়ে বিমানের ক্রুরাও ক্ষুব্ধ যাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, জেদ্দা থেকে ফ্লাইট ছাড়ার আগ মুহূর্তে বিমানের কার্গোডোরের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন হলে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়।
ওই ফ্লাইটে চট্টগ্রামে ফিরেছেন ছিলেন আহসান হাবিব। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফ্লাইট ছাড়ার কথা ছিল শনিবার সকালে, কিন্তু ছাড়েনি। অথচ বিমানবন্দরে কাউকে পেলাম না খোঁজ নেওয়ার মতো। পরে দুপুর জানায় ফ্লাইট বাতিলের কথা। একদিন পরে ফ্লাইট ছাড়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। বাংলাদেশের কাছাকাছি আসার পর যখন পাইলট জানালো চট্টগ্রামে না গিয়ে আগে ঢাকা আসবে এতে চট্টগ্রামের যাত্রীরা খেপে যান। জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি যাওয়ার জন্য বেশি ভাড়াও নিয়েছে বিমান। এ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের যাত্রীদের কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি হয়।’
এ প্রসঙ্গে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিমানের কার্গো ডোরে সমস্যার কারণে ফ্লাইট ছাড়তে একদিন দেরি হয়। তবে যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল। কার্গোডোরে সমস্যা থাকায় ঢাকায় অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে যাত্রীদের কেউ কেউ ক্ষুব্দ হয়ে পড়েন। তবে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টির জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
/সিএ/এসটি/