X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

অযত্ন-অবহেলায় শহীদ জননীর সমাধি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৬আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৯

অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কবর (ছবি- ইবনে নূর শাওন) তার নেতৃত্বে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবি পরিণত হয়েছিল জনদাবিতে। তার নেতৃত্বেই ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল ১০১ সদস্যের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তিনি জাহানারা ইমাম, মুক্তিযুদ্ধে বড় ছেলে শফি ইমাম রুমীকে হারিয়ে যিনি হয়েছিলেন শহীদ জননী। অথচ সুরক্ষিত নেই মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার সমাধিটি। অযত্ন আর অবহলোয় পড়ে আছে তার কবর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিনিই (জাহানারা ইমাম) পাবলিক ডিমান্ড দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছেন। বিশেষ ট্রাইবুনাল করে বিচার সম্ভব, সেটা তিনিই দেখিয়েছেন। তার দেখানো পথ ধরেই আমরা এত বড় একটি বিচার কাজ সম্পাদন করছি। তার প্রতি ন্যূনতম সম্মানটুকু দেখাতে হলে তার স্মৃতিকে সম্মান করাটা জরুরি। আমি মনে করি, এটি কেবল তার পরিবারের নয়, জাতীয় দায়িত্ব।’
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গ্রন্থটি যেন মুক্তিযুদ্ধের চিত্রের এক প্রামাণ্য দলিল। মুক্তিযুদ্ধে তার বড় ছেলে শফি ইমাম রুমী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। সেই চিত্রও উঠে এসেছে এই বইয়ে। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন শহীদ জননী। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তিনি যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা ততদিনে ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।
যুদ্ধাপরাধে দায়ে দণ্ডিত জামায়াত নেতা গোলাম আযম ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর আমির হলে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের সূত্র ধরে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত হয় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ জাহানারা ইমামের নেতৃত্বেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ‘গণআদালতে’ গোলাম আযমের বিচার অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত ওই গণআদালতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন জাহানারা ইমাম। তিনি গণআদালতের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবিও তুলেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের অন্যতম পথিকৃৎ জাহানারা ইমামের কবর সংরক্ষণ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা হয় ১০ বছর পর্যন্ত। অন্য কবরগুলো দু’বছর পর্যন্ত দেখভাল করে সিটি করপোরেশন। বাকি সব কবর পারিবারিক উদ্যোগেই সংরক্ষণ করা হয়।’
শহীদ জননীর সমাধি সংরক্ষণ প্রসঙ্গে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একজন দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, ইতিহাসবিদ ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম নেতা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘কবর সংরক্ষণের বিষয়ে পরিবারেরও মতামতের বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ে আমি নির্মূল কমিটির সঙ্গে কথ বলব।’
/ওএফ/ইউআই//সিএ/টিআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া