X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

'হাওর, পাহাড়, দ্বীপে আবাসিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেবো'

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৪ মে ২০১৭, ১১:৩৯আপডেট : ০৪ মে ২০১৭, ১১:৩৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হাওর, পাহাড়, দ্বীপ ও চরাঞ্চলের মতো দুর্গম এলাকায় লেখাপড়ার ব্যবস্থা সহজ করতে সরকার আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে দেওয়ার ওপর জোর দেবে। তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব দুর্গম, যে কারণে শিক্ষামন্ত্রীকে আমি বলবো আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে দিতে হবে। প্রতিদিন এই পানি ভেঙে ভেঙে স্কুলে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়েছে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু হাওর অঞ্চল নয়, আমাদের দক্ষিণাঞ্চলেও এ রকম প্রচুর দ্বীপ অঞ্চল আছে। সেই সঙ্গে আছে আমাদের পাহাড়ি অঞ্চল। পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক দূরের পথ হেঁটে হেঁটে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আসতে হয়। এটা যাতে না হয় সেজন্য আমাদের চরাঞ্চল, দ্বীপাঞ্চল ও বিশেষ করে হাওরাঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যতটুকু সম্ভব আমরা আবাসিক করে দেবো। সে ব্যবস্থাটা আমাদের নিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী কাছে ১০ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ফলাফল হস্তান্তরের সময় সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষা একটা জাতির জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য। আমরা বাংলাদেশকে একটা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষাই হচ্ছে মূল হাতিয়ার। আমি মনে করি একটা জাতিকে শিক্ষিত করে দিতে পারলে খুব স্বাভাবিকভাবে সে জাতি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। আমাদের দারিদ্র্য বিমোচনকে আরও ত্বরান্বিত করবে। বর্তমান যুগে শিক্ষাটা একান্তভাবে জরুরি। কেউ শিক্ষা বঞ্চিত থাকবে এটা আমরা চাই না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি তাদের পরীক্ষার সময়টাও বর্ধিত করা হয়েছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে তারা পরীক্ষাটা দিতে পারছে। তাদের মধ্যে যে সুপ্ত মেধা সেটা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তারাও যে আমাদেরই সন্তান। আমাদেরই একজন। তাদের প্রতি আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাহলে তাদেরও আমরা দেশের কাজে লাগাতে পারি। আপনারা জানেন আমাদের দেশে চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের কোটা আছে। তারা এই সমাজেরই অংশ, তারা কেন অবহেলার শিকার হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবার খাতা দেখার পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, আমি মনে করি এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী। শিক্ষার মান উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে খাতা দেখার পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে সে জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘যারা পাস করতে পারেনি, তাদেরকে আমি বলবো মনখারাপ করার কিছু নেই। পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদের ফেল করার প্রশ্নই আসে না। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করলেই তারা পাস করতে পারে বলে আমি মনে করি।’

/পিএইচসি/এফএস/ 

আরও পড়ুন-
এবার পাসের হার কম, মেয়েদের ফল ভালো

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৮০.৩৫ শতাংশ

এসএসসিতে পাসের হার ৮১.২১, মাদ্রাসায় ৭৬.২০ ও কারিগরিতে ৭৮. ৬৯

প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি ও সমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি সই
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি সই
দেশের উন্নয়নের বিষয়টি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নের বিষয়টি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী
আরসার বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে যা বললো র‌্যাব
আরসার বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে যা বললো র‌্যাব
‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না’
‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না’
সর্বাধিক পঠিত
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প