দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ন্যয়বিচারের প্রতীক ‘গ্রিক দেবী’র ভাস্কর্য অপসারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অবিলম্বে ন্যয়বিচারের প্রতীক হিসেবে ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের জন্য সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে জোর দাবি জানান এই বিশিষ্টজনরা। বিবৃতি দেওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন- সাংবাদিক ও কবি আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সঙ্গীতজ্ঞ সানজিদা খাতুন, অভিনেতা হাসান ইমাম, নাট্যাভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, শহীদ জায়া পান্না কায়সার, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, শিল্প সমালোচক মফিদুল হক এবং মুক্তিযাদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
বিবৃতিতে দেশের বিশিষ্টজনরা বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ন্যয় বিচারের প্রতীক ভাস্কর্য অপসারণে আমরা ক্ষুব্ধ এবং প্রগতি বিরোধী এহেন হীনকর্মে গভীর ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। এই অপসারণের মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলের গঠিত সরকার কার্যত ধর্মান্ধ মৌলবাদী অপশক্তির কাছে নতি স্বীকার করেছে। আমরা ভুলে যায়নি যে, এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের প্রতীক ‘অপরাজেয় বাংলা’ ধংসের উদ্দেশ্যে ব্যর্থ আক্রমণ করেছিল। এরাই ‘দুরন্ত শিশু’ ভাস্কর্য রাতের আধাঁরে নিশ্চিহ্ন করেছিল। এরাই বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেকে একটি ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই সংস্কৃতি বিরোধী প্রবণতায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে ন্যয়বিচারের প্রতীক শিল্পসিদ্ধ ভাস্কর্য প্রতিস্থাপন করার জন্য সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আশা করি ধর্মের নামে সংস্কৃতি বিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবেন না।’
/এসএমএ/
আর পড়ুন
‘ভাস্কর্য রাজনীতি’ সরকারের হাতিয়ার: ইমরান এইচ সরকার
ভাস্কর্য অপসারণ: প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশের জলকামান ও টিয়ার সেল