সু্প্রিমকোর্ট চত্বর থেকে সরিয়ে অ্যানেক্স ভবনের সামনে প্রতিস্থাপন করা হলো ‘গ্রিক দেবী’র ভাস্কর্য। শনিবার রাত আটটা থেকে ভাস্কর মৃণাল হকের তত্ত্বাবধানে ৩০ জন শ্রমিক পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করেন। রাত বারোটার দিকেও সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকজন শ্রমিক ঝালাইয়ের কাজ করছেন। এরপর রাত পৌনে একটায় পুনঃস্থাপনের কাজ শেষ হয়।
গত ২৫ মে বৃহস্পতিবার রাতেই একটি চারকোণা গর্ত করে রড, বালু, ইটের খোয়া ও সিমেন্ট ব্যবহার করে একটি পাটাতন তৈরি করা হয়। শনিবার মাঝরাতে দেখা যায়, গত দুদিনে ওই পাটাতন শক্ত হওয়ার পর লোহার রড বসানো হয়। ওই রডের সঙ্গে ভাস্কর্যের নিচে স্টিলের তৈরি পাটাতান ঝালাই করা হয়।
কর্মরত এক শ্রমিকের ভাষায়, কারেন্ট ঝালাই করা হচ্ছে।
একজন শ্রমিক জানান, ভাস্কর্যটিকে দাঁড় করিয়ে লোহার রডের সঙ্গে জোড়া দেওয়া হচ্ছে। এরপর আরও শক্ত করার জন্য গর্তের চারপাশ ধরে মাটির নিচ থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ইটবালু দিয়ে ঢালাই দেওয়া হবে। শনিবার রাত পৌনে ১ টার দিকে এ তথ্য যখন দিচ্ছেন শ্রমিক, তার ভাষ্য, আরও আধাঘণ্টা সময় লাগবে। তবে নিশ্চিতভাবেই শনিবার রাতের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন হবে।
এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের গেটের কাছে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ভাস্কর মৃণাল হক।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ভাস্কর মৃণাল হকের নেতৃত্বে ১৩ জন কর্মীসহ মোট ২০ জন শ্রমিক ভাস্কর্যটির ভিত ভাঙার কাজ শুরু করেন। শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকা মেট্রো ন-১৬-১৫০৪ নম্বরের পিকআপ ভ্যানে করে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের ভেতর পানির পাম্পের পাশে ভাস্কর্যটি রাখা হয়। এর ৪৮ ঘণ্টা পর শনিবার (২৭ মে) রাত দেড়টায় ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়।
এসটিএস/এমএইচ/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন করা হলো
ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন কাজ দু’দফা ফেসবুকে লাইভ করলেন মৃণাল হক
ভাস্কর্য নিয়ে মন্তব্য করা বিপজ্জনক: অ্যাটর্নি জেনারেল
ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মিছিল