X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের কাছের লোক ছাড়া লুটপাট করা সম্ভব নয়: ফিরোজ রশীদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ মে ২০১৭, ১৪:১৪আপডেট : ৩০ মে ২০১৭, ১৪:১৮

ফিরোজ রশীদ

সরকারের কাছের লোক ছাড়া ব্যাংকিং খাতে লুটপাট করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য  করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। ব্যাংকিং খাতে চরম বিশৃঙ্খলার বিষয়টি তুলে ধরে সংসদ অধিবেশনে তিনি একথা বলেন।

মঙ্গলবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় একটি জাতীয় দৈনিকের খবরের বরাত দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে দেশে অর্থনীতিতে অশনি সংকেত চলছে উল্লেখ করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আর্থিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। লুটপাটের কথা ওঠলে তদন্ত হয়, প্রতিবেদন আসে। এরমধ্যে আরও দুটি ঘটনা ঘটে, আগেরটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এভাবেই ঘাটতি তৈরি হয়। সে ঘাটতি বাজেটেও থাকে। জনগণ কেন এই ঘাটতি মেটাবে। জনগণের টাকা কারা লুটপাট করছে? কারা এজন্য দায়ী?  আমরা কথা বলি অর্থমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকে না। আমাদের কথা আকাশে শুনে।’

দেশে সুশাসন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে ভয়াবহ অবস্থা। বেসিক ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ঘাটতি মূলধনের তালিকায় রয়েছে। ব্যংকগুলোতে মূলধন নেই। ব্যাংক চলবে কি করে?’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে দুটি জিনিসের অভাব হয় না। একটা হলো-উপদেশ দেওয়া চাটুকর-তোষামোদকারীর। আরকেটা বাঁশ দেওয়া। কেউ যদি হিমালয়ের ওপর ওঠে মনে করেন আকাশ কাছে। আকাশ অত কাছে না। সরকার মনে করছে, জনগণ খুব কাছে তাদের। আসলে জনগণ কাছে না। জনগণ কারও না। সামনে নির্বাচন কোথাও তো সুশাসনের চিহ্ন পাচ্ছি না। এ কিসের আলামত।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমরা কথা কম বলি। কেন? আগের সংসদ সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। বিরোধী দল বলেন, আর সরকারি দল বলেন আমরা নিজেরা জানি না। আমার নেত্রী এখানে বসে আছেন। আপনি (স্পিকার) আমাদের কি মনে করেন, সেটা আমাদের প্রশ্ন। আমরা কথা বলতে পারি না। ৭০ অনুচ্ছেদ আছে বলে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারি না। দেশে অবাধ গণতন্ত্র চলছে। যে যা ইচ্ছা বলতে পারছেন। আসলে ঘটনা কী? দেশে সুশাসন আছে? সুশাসন যদি থাকতো অরাজকতা চলতো না। সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা। যাব কোথায়? বলবো কোথায়? কথা বললে বলে চেতনা। কিসের চেতনা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। শুধু চেতনা দেখে। যাদের বয়স ‘৭১ সালে ১৮-২২ বছর ছিল তখন চেতনা কোথায় ছিল? সরকার ক্ষমতায় আসলে এসব লোকের চেতনা বাড়ে। এরা সরকারের চাটুকারিতা করছে। সব টাকা কুক্ষিগত করছে। নানারকম ছদ্মবেশে ব্যবসা-অর্থ করায়ত্ব করছে। বিদেশে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ভিওআইপি ব্যবসার নামে লুটপাট চলছে। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়। সামনে বাজেট, কর বাড়াবে, কত বাড়াবেন। করের টাকা অবাধ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে।’

/ইএইচএস/এসটি/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা