কথায় কথায় অর্থমন্ত্রীর ‘রাবিশ’ বলা কৌশলের অংশ নাকি বয়সের ভার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য। রবিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় জাতীয় পার্টির লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান এই প্রশ্ন তোলেন।
অর্থমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে মোহাম্মদ নোমান বলেন, ‘উনি (অর্থমন্ত্রী) কথায় কথায় রাবিশ বলেন। আগে আমরা হাসতাম এখন সাধারণ মানুষ হাসে। এটা উনার বয়সের ভার, নাকি কৌশল বলা মুশকিল।’
প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাজেট নিয়ে আলোচনা করে কী হবে? আমরা যত মায়াকান্নাই করি না কনে বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যাবে। আমরা বার বার উন্নয়নের মহাসড়কে ওঠার কথা শুনছি, কিন্তু এই উন্নয়নের মহাসড়কের সিঁড়ি জনগণ খুঁজে পাচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের লোভাতুর জিহ্বায় লাগাম দিন, দেশ ভাল নেই। মানুষকে অন্ধকারে রেখে পার পাওয়া যাবে না। জনগণকে ঘুমপাড়িয়ে রেখে রাজনীতি করা যাবে না।’
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘পাহাড়ে মৃত্যুর দায় কে নেবে? প্রকৃতির ওপর দায় দিলে প্রকৃত অপরাধীরা ছাড়া পাবে। বন উজাড় করা হচ্ছে, পাহাড় কাটা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় না। ঢাকা, চট্টগ্রাম সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছিল। অনেকে উপহাস করেন, নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাই সরকার নৌকায় চড়াচ্ছে। আগামীতে মনে হয় তারা আর খুশি মনে নৌকায় উঠবেন না।’
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘যারা কর দেন তাদের ওপর করের বোঝা চাপানো হয়েছে। নৈতিকভাবে হোক আর যুক্তি দিয়ে হোক সেটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।’
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ‘কাগজ, সাবান, খাদ্যপণ্য, তাঁতের ওপর ভ্যাট কমাতে হবে। ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের কথা ভেবে এটা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন, আওয়ামী লীগের ফরহাদ হোসেন, সৈয়দা সায়রা মহসীন, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, কামাল আহমেদ মজুমদার, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, খন্দকার আবদুল বাতেন, আলী আজম, কামরুল আশরাফ খান, হোসনে আরা লুৎফা, উম্মে রাজিয়া কাজল, লুৎফা তাহের, সাবিনা আক্তান তুহিন প্রমুখ।
/ইএইচএস/এমও/