X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিমান নিয়ে কম কথা বলাই ভালো: বিমানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুন ২০১৭, ১৩:০১আপডেট : ২১ জুন ২০১৭, ১৩:১২

রাশেদ খান মেনন (ছবি: ফাইল ফটো) বিমান নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স একটি পাবলিক লিমিডেট কোম্পানি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে লিমিডেট কোম্পানি করা হয়েছে। এখানে জবাবদিহিতা এবং জনবল কোনোটাই নেই। ফলে এখানে (সংসদে) বিমান নিয়ে অজস্র অভিযোগ আসছে।’

বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিমানের সংস্কারে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের উন্নতি করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিমানকে জরুরি সার্ভিস ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। যারা বিমানের আমূল সংস্কারের জন্য সুপারিশ করবে। ওই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হবে। পরে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। বহরে নতুন নতুন বিমান যুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে।’

বাজেটে প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রস্তাব সম্পর্কে মেনন বলেন, ‘১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর হলে তার পরিণতি ​কী ​হবে অর্থমন্ত্রী জানেন না। এতে নিম্ন মধ্যবিত্তদের ওপর আঘাত আসবে। আশা করছি অর্থমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে এখানে হস্তক্ষেপ করবেন।’

ব্যাংক আমানতের ওপর বাড়তি আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ শুল্কের নাম বদলালে তা যথেষ্ট হবে না। আর বাজেটে ভ্যাটের আওতা না বাড়িয়ে সহজে আদায় করা যায় এমন করের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব।’

কালো টাকার দৌড়াত্ম ব্যাপক মন্তব্য করে মেনন বলেন, ‘আমাদের দেশে কলোটাকার পরিমাণ জিডিপির ৩৫ থেকে ৮০ শতাংশ। এর জন্য কোনও কর দিতে হয় না। এই কালোটাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এই পাচার হওয়া অর্থের পরিমান এক বছরের বাজেটের সমান। সেই টাকা ফেরত আনা যাবে না। অথচ বাজেটের টাকার সংকুলানের জন্য ভ্যাট-ট্যাক্সের মহোৎসব চলবে- এটা কী করে হয় তা জানতে চাই?’

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘দেশে আয় ​বৈষম্য বেড়েই চলছে। গ্রাম শহরে এই বৈষম্যের কারণে বিভাজন বাড়ছে। কিন্তু দেশের সংবিধানে সমতার কথা বলা হয়েছে। তাই এসডিজি অর্জনরে জন্য সমতার ওপর জোর দিতে হবে।’

নির্বাচন সম্পর্কে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণার পর পরই নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি তাদের চরিত্র অনুযায়ী নতুন ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেছে। তারা বলতে শুরু করেছে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। তাহলে নির্বাচন কার অধীনে হবে? কারণ সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোনও বিধান নেই। নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপি না এলে তারা জীবনের শেষ ভুলটি করবে। আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি নির্বাচনে না এলে তাদের দল মুসলিম লীগে পরিণত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিরোধের কথা আমরা এখনও শুনেছি, আগেও শুনেছি। আগে তাদের প্রতিরোধ কথা ফানুসে থেকে গেছে। এবারও একই অবস্থা হবে।’

নির্বাচনি প্রক্রিয়া ঘোষণার পর বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারী নিজেদের নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিভাবে বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার উপদেশ দেন? তাই আমি মনে করি আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা কূটনৈতিক শিষ্টাচার। অবশ্যই আমরা অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন চাই। সকলে নির্বাচন করবে সেটাই চাই। তবে সেটা হতে হবে আইন ও সংবিধানের অধীনে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্বাচন করবে সেভাবেই নির্বাচন হতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে। জামাত সেইভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে হেফাজতসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থী দল গলা ছুড়ছে। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে ৫ মে’র পুনরাবৃত্তির কথা বলছে। এই ঔদ্ধত অতীতেও গ্রহণ করা হয়নি, এখনও হবে না। বাংলাদেশে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি পূর্ণপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই অনুসারে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনও জায়গা নেই। আশা করবো আগামী নির্বাচনে এই অসাম্প্রদায়িক গতিধারা অব্যহত থাকবে।’

/ইএইচএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লিঙ্গবৈচিত্র্য ও পুরুষতন্ত্রের মেনে নেওয়া-না নেওয়া
লিঙ্গবৈচিত্র্য ও পুরুষতন্ত্রের মেনে নেওয়া-না নেওয়া
তীব্র গরমে কৃষিশ্রমিকের সংকট চরমে
তীব্র গরমে কৃষিশ্রমিকের সংকট চরমে
গাজা নিয়ে মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেফতার
গাজা নিয়ে মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেফতার
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মশলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মশলা
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি