X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফাঁকা ঢাকায় রিকশায় ঘোরাঘুরি, টুকটাক কেনাকাটা আর আড্ডা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ জুন ২০১৭, ২৩:৩৫আপডেট : ২৫ জুন ২০১৭, ২৩:৩৬

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ফার্মগেট, ছবি- নসিরুল ইসলাম রবিবার (২৫ জুন) সকাল থেকেই অন্য ঢাকার আমেজ নিয়ে কেনাকাটা করেছেন রাজধানীবাসী। অন্যান্য দিনের মতো বাসে ওঠার জন্য লাইন ধরে হুড়োহুড়ি ছিল না। সেইসঙ্গে নেই ফুটপাতে ঠেলাঠেলি করে হাঁটার ভোগান্তি। কেবল রিকশাতেই এপার থেকে ওপারের ঢাকা চষে বেড়াচ্ছেন সবাই। এখানে এখন রিকশাই প্রধান বাহন। ভাড়া একটু চড়া হলেও সবারই মন ফুরফুরে।
যাদের প্রাইভেট গাড়ি আছে তারা নিজেদের মতো করে ঘুরতে বেরিয়ে আশেপাশের শপিংমলে পায়ে হেঁটে বা রিকশায় চড়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে। আবার ঢাকার বাইরে স্বস্তিবোধ করলেও অনেকেই বলছেন, কয়েকদিনের এই ফাঁকা ঢাকায় একটু অস্তস্তিও হয়। অপরিচিত এই নগরীতে মনে হয়, প্রতিদিনের ঢাকাকে মিস করছি।

ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে ঢাকা। ২৯ রোজার পরই ঈদ হতে পারে এই আভাস মনে নিয়েই রবিবারেই সর্বশেষ যাত্রীরা সকাল সকাল ঢাকা ছেড়েছেন। এরপরই রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত কমে গেছে। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুপুরে গিয়ে পাওয়া যায়নি চিরচেনা ফার্মগেট। নেই ফুটপাথে তেমন কোনও দোকান, নেই রোজকার হাকডাক, নেই সারি সারি বাসের অপেক্ষা।

ফার্মগেটে বসে বসে পেয়ারা বিক্রি করছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব রহমান। তিনি বলেন, ‘বউ বাসাবাড়িতে কাজ করে, আমি একেক সময় একেক ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসি। ঢাকাতেই থাকি সব ঈদে। গ্রাম নদীতে ভেঙে যাওয়ায় দশ বছর আগে ঢাকায় এসেছি, সেই থেকে ঈদে আর যাওয়া হয়নি।

রহমান জানান, শনিবার সারারাত বিক্রি করে ফুটপাথের বিক্রেতারা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে গেছেন। যারা আছেন তারা সন্ধ্যার পর আবারও বেচাবিক্রি শুরু করবে। ভোর রাতের পর তারাও চলে যাবেন। তারপর সপ্তাহ খানেক তেমন কিছু পাওয়া যাবে না।

ছুটির দিনের রাজধানী, ছবি- নাসিরুল ইসলাম দুপুরে মহাখালী রেলগেটে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তা ফাঁকা প্রধান সড়কে রিকশা চলছে। নাখালপাড়া থেকে রিকশায় বনানী এগারোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন দুই বান্ধবী— শিরিন ও সুমাইয়া। তারা বলেন, ‘কিছু কসমেটিকস আর স্যান্ডেল কেনা বাকি রেখেছি। ঈদের ঢাকা ফাঁকা হওয়ার পর রিকশায় ঘুরে রেড়ানোর আলাদা মজা আছে। এই দিন রিকশা ভাড়া একটু বেশি। কিন্তু ঈদের আগের দিন ভালই লাগে আড্ডা একটু বাড়িয়ে দিতে। অন্যদিনের মতো জ্যামট্যাম ঠেলে যেতে হয় না বলে মনটাও ফুরফুরে থাকে।

ধানমন্ডি থেকে বসুন্ধরায় আসার পথে রায়হান ও তার ছোট বোন সাবিন পান্থপথে কোনও গাড়ি না দেখে অবাক হয়ে যান। রায়হান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই ঢাকা প্রতি ঈদেই দেখি কিন্তু ভাল লাগে না। এক ধরনের অস্বস্তি তৈরী হয়। ঢাকাকে আমরা জ্যাম, ঠেলাঠেলি দিয়ে দেখে অভ্যস্ত। সেটাই আমাদের নগরী। এই এক দুই দিনে ফাঁকা হয়ে গেলে কেমন জানি চোখে খটকা লাগে। তবে তার বোন সাবিন পাশ থেকে বলেন, ‘ভালই লাগে রিকশায় ঘুরতে। যেখানে যেতে চাইব সময় লাগবে না, মেজাজটাও খারাপ হয় না।

রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সোমবার পালিত হবে ঈদুল ফিতর। শ্রমজীবী মানুষ ইতোমধ্যে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়েছেন। উচ্চবিত্ত অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন প্রবাসে ঈদ করার জন্য। আর ঢাকায় যারা আছেন তারা চিরচেনা রাজধানীর দৈনন্দিন খুটখাট থেকে বেরিয়ে একটু শান্ত শহরের আনন্দ উপভোগ করছেন।

/ইউআই/এসএমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিশ্বসাহিত্যের খবর
বিশ্বসাহিত্যের খবর
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের