দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আধুনিক ও সর্বশেষ উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান বিস্তারে উদ্যোগী হতে বললেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে পাঠ্যক্রমেও সময়োপযোগী পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। ইউকিয়া আমানোর হাতে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেন তিনি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সৃজনশীলতা ও স্বাধীন চিন্তার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ।
বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউকিয়া আমানোর কাছে কারিগরি সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি।
সমাবর্তন বক্তব্যে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো বলেন, ‘এ বছর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়ে আমি আনন্দিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আইএইএ’র সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, ঢাবি’র উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, বিভিন্ন অমুষদের ডিন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি।
বিকেল পৌনে চারটায় বিশেষ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।
/এসএমএ/