X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

মওদুদের বাড়ি পুলিশকে দিতে চায় রাজউক

শাহেদ শফিক
১৮ জুলাই ২০১৭, ২০:৪১আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৭, ২০:৪১

ভেঙে ফেলার দিন মওদুদ আহমদের বাড়িটি রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আলোচিত বাড়িটি পুলিশকে দিতে চায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ঢাকায় কর্মরত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে চায় সংস্থাটি। এজন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠির জবাবের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। রাজউকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ প্রসঙ্গে রাজউক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও সম্পত্তি) মো. আসমাউল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকায় কর্মরত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য এই বাড়িটি নামমাত্র মূল্যে বরাদ্দ চেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি রাজউকে এসেছে। এখন রাজউক যা যা করণীয় তা শেষ করে বাড়িটি পুলিশের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছে। সেখান থেকে এখনও কোনও মতামত বা সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্ত এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

রাজউকের আরেকটি ঊর্ধ্বতন সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, দখলে নেওয়ার আগেই সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বাড়িটি পুলিশের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই পূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন শুধু কাগজপত্র বা ফাইল চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া বাকি। সিদ্ধান্ত পেয়ে রাজউকও সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে বাড়িটি পুলিশকে বরাদ্দ দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডকে আরেকটি চিঠি দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ২৮ জুন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদের স্বাক্ষরে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ড থেকে চিঠির উত্তর এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘১৫৯, গুলশান এভিনিউর পরিত্যক্ত বাড়িটি বাংলাদেশ পুলিশের অনুকূলে প্রতীকী মূল্যে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের কোনও আপত্তি নেই। সরকার বিষয়টি সদয় বিবেচনা করতে পারে।’

ফলে রাজউক থেকে পূর্ত মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তার চূড়ান্ত মতামত এলেই বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ খবর জানিয়ে রাজউক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও সম্পত্তি) মো. আসমাউল হোসেন আরও বলেন, ‘গুলশানের বাড়িটি সরকার তার কোনও সংস্থাকে দেবে কিনা তা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। রাজউকের কাছে সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত এলে রাজউক আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করবে।’

মওদুদের বাড়িটি ১৯৮৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির গেজেটের ‘ক’ তালিকাভুক্ত। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আপিল ও রিভিউ মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নিজস্ব দখল ও নিয়ন্ত্রণে এনেছে এই বাড়ি।

বর্তমানে এ বাড়ি নিজস্ব দখল ও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাজউক। ১৯৯৫ সালের ১৯ মার্চ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলে এ পরিত্যক্ত বাড়ির মূল নথি পাঠানো হয়। এরপর থেকে আর সেটি পাওয়া যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে গুলশানের ওই বাড়িতে সরেজমিন দেখা গেছে, শুধু বিধ্বস্ত একটি ভবন ছাড়া এখানে কিছুই নেই। শুরুর দিকে কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য পাহারার দায়িত্বে থাকলেও এদিন তাও দেখা যায়নি। বাড়িটিতে বর্তমানে বিধ্বস্ত অবস্থা ও সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।

/এসএস/জেএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী