প্রয়োজন হলে সিদ্দিকুরকে চিকিৎসার প্রয়োজনে সরকার বিদেশ পাঠাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ সোমবার (২৪ জুলাই) জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আজ সিদ্দিকুর রহমানকে দেখতে এসেছি, এখানে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবে।’
এদিকে, মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর সিদ্দিকুরের পাসপোর্ট তৈরি করার কাজও শুরু হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন সিদ্দিকুরের সহপাঠী শাহ আলী। তিনি বলেন, ‘পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতে সিদ্দিকুর চোখ হারাচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
শাহ আলী বলেন, মন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ সিদ্দিকুরের কেবিনে ছিলেন, তার মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া তার সঙ্গে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষার রুটিন ও তারিখ ঘোষণাসহ কয়েকটি দাবিতে গত ২০ জুলাই সকাল ১০টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের ওই জায়গা ছেড়ে যেতে বললে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফুট ওভারব্রিজের পাশের অংশে অবস্থান নেন তারা। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান। এরপর থেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
তার ডান চোখে দৃষ্টি ফিরে না পাওয়ার কথা বলা হলেও বাম চোখের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে আজ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘সিদ্দিকুর রহমানের চোখের উন্নতি হয়েছে। তার বাম চোখের ফোলা কমেছে, কর্নিয়া ঘোলা ছিল তাও পরিষ্কার হচ্ছে। কর্নিয়ার ঘোলা ভাবটা ঠিক হওয়ার পর অপারেশন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকালে সে যেহেতু বলেছে, দেখতে পাচ্ছে। তাই আমরা নিশ্চিত, সে দেখতে পাবে। তার বাম চোখে আলো ফিরবে বলে আমরা আশা করছি।’
/জেএ/টিএন/