X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার মামলা সম্পর্কে তথ্য নিলেন প্রধানমন্ত্রী

শফিকুল ইসলাম
২৪ জুলাই ২০১৭, ২১:৪৫আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৭, ২২:০১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৪ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সভায় অনির্ধারিত আলোচনায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান তিনি।
এর আগে সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী বংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন-২০১৭’র খসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন তথ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে সম্প্রতি আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের নামে মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি ও আন্দোলন সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন হাসানুল হক ইনু। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ছিলেন এমন একাধিক মন্ত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে হাসানুল হক ইনু বলেছেন— ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে এই আইনের ৫৭ ধারা ব্যবহার করে অনেকেই সাংবাদিকদের নামে মামলা করছে। সেই মামলায় অনেক সাংবাদিক গ্রেফতারও হচ্ছেন। এই মামলা ও গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকরা আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন, রাস্তায় নামছেন। এই মামলার বিরুদ্ধে তারা নানা ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছেন ও তা পালন করছেন। সাংবাদিকরা এই আইনটি বাতিল চান বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় তথ্যমন্ত্রীর কাছে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, ‘এই ধারায় কতজন সাংবাদিকের নামে মামলা হয়েছে? এই মামলায় কতজন সাংবাদিক জেলে আছেন? সরকার কি কোনও সাংবাদিকের নামে এই ধারা ব্যবহার করে মামলা করেছে? যারা এই ধারা ব্যবহার করে সাংবাদিকদের নামে মামলা করেছে, তারা তো সরকারের কেউ নয়। এই মামলাগুলো যারা করেছেন, তারা তো ব্যক্তিগতভাবে করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘সাংবাদিকদের হয়রানির উদ্দেশে তো সরকার এই আইন করেনি। কেউ যদি ইচ্ছা করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু লেখে তাহলে কি হবে? কেউ যদি দেশের ক্ষতি করতে চায় তাহলে কি হবে? কেউ যদি দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যা খুশি তাই লিখে দেয় তাহলে কি হবে? এসব অপরাধ ঠেকাতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? আইন তো সাংবাদিকদের হয়রানির জন্য করা হয়নি? সরকার তো কোনও সাংবাদিকের নামেও মামলা করেনি।’

এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যই নিশ্চুপ ছিলেন বলে জানা গেছে। একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য তার নির্বাচনি এলাকায় একটি টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। আমরা সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছি, সেখানে এ ধরনের কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া যায় না। তাই আমরা সেই কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেইনি। এ কারণে ওই সংসদ সদস্য তার মালিকানায় থাকা একটি দৈনিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার নামে নানান কুরুচিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।’

এরপর শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ যদি আপনার নামে রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার আপনার রয়েছে। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে তাহলে তো আপনি তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।’

/এসআই/জেএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া