জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী, বাঙালির লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) ।
টুঙ্গীপাড়ার সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই নন, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর এই উত্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন এই মহীয়সী নারী।
বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বার বার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবন যাপন করছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা বঙ্গমাতার কাছেই ছুটে আসতেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা তাদের কাছে পৌঁছে দিতেন। লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাতেন।
বিশেষ করে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়, তখন এর বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকেই ত্বরান্বিত করেছিল। তাঁর দূরদর্শী যুক্তি মেনে বঙ্গবন্ধু মুক্তি নেননি। যা মামলা প্রত্যাহারের আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছিল। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সামরিক সরকার মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ সবাইকে মুক্তি বাধ্য হয়েছিল। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এই মহীয়সী নারী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সপরিবারে খুনিচক্রের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সব সোনালী অর্জনের নেপথ্য থাকা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে দলটি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন।
এছাড়া, বেলা ১১টায় সংসদ সচিবালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
/পিএইচসি/এএম-আপ-এমপি/