X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ আগস্ট ২০১৭, ১১:৩৪আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৪১

শেখ হাসিনা (ফাইফ ফটো)

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলান শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।  

বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ১৫(১) এবিসি/২৫ (ডি) এর ধারায় প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার কামাল উদ্দিন সাকের, আরিফ হাসান সুমন, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. শাহনেয়াজ, মো. লোকমান, মো.  এনামুল হক, মো. মিজানুর রহমান, মো. মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান, মো. মাহমুদ আজহার, মো. আবুল হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। কোটালীপাড়া হত্যাচেস্টা মামলার মোট আসামি ২৪ জন।

এছাড়া, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ ও ৬ ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে ৯ আসামিকে ২০ বছর কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার মোট আসামি ১৪ জন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. ইউসুফ ওরফে মোসহাব ওরফে আবু মুসা হারুন (পলাতক), মো. আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, মো. মেহেদি হাসান, ওয়াশিম আকতাম, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মো. মাহমুদ আজাহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহনেয়াজ, শেখ মোহাম্মদ এনামুল হক (পলাতক)। দণ্ডপ্রাপ্তরা হরকাতুল জিহাদের সদস্য বলে জানা গেছে।

এ মামলার হাশমত আলী কাজী, আবুল হোসেন খোকন, মুন্সী ইব্রাহীম, মো. লোকমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য,  ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল আট জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয় জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়। শেখ হাসিনাকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঢাকার আদালতেই এ ধরনের পাঁচটি মামলা বিচারাধীন। আজ রায় ঘোষণা হলে, এটাই হবে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রথম রায়। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি।

/এসআইটি/এসএনএইচ/এসটি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‌্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‌্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে
পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করলেন সুইডেনের প্রিন্সেস
পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করলেন সুইডেনের প্রিন্সেস
এক‌দি‌নের রিমান্ড শে‌ষে কারাগারে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
এক‌দি‌নের রিমান্ড শে‌ষে কারাগারে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
যে কারণে রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো মলদোভা
যে কারণে রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো মলদোভা
সর্বাধিক পঠিত
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার