‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিনি নিজেই তা প্রমাণ করেছেন।’সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সভাটির আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এসময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশীদকে এমপি বানিয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীও বানিয়েছিলেন তিনি।’
দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চর্চা শুরুর জন্য জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে দায়ী করে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া জ্বালাও পোড়াও করে আন্দোলনের নামে দেশকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছেন। আর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশে পুনর্বাসিত করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামকে এ দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন। পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযমকে দেশে এনে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’
সাম্প্রতিক সময়ে আদালতের দেওয়া সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ক রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রায়ের সঙ্গে পর্যালোচনার নামে জাতীয় সংসদকে ছোট করা হয়েছে। আমাদের পবিত্র সংবিধানে বলা আছে, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। সেই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই মহান সংসদের সদস্য। পর্যালোচনার নামে জাতীয় সংসদ, জাতীয় সংসদের সদস্য ও সর্বোপরি দেশের জনগণকে ছোট করা হয়েছে।’
এ আলোচনা সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সুভাশিষ বসুসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
/এসআই/এএইচ/টিএন/