কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত রাখাইন প্রদেশের পরামর্শমূলক কমিশনের চুড়ান্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রকাশ করা হবে। সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব আগ্রহের সঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দেবে বলে আশা প্রকাশ করে সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই এবং এ প্রতিবেদনে সমাধানমূলক কিছু থাকলে বাংলাদেশ সেটি স্বাগত জানাবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ আগস্ট) মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াওয়ের কাছে প্রতিবেদনটি তুলে দেন কফি আনান।
মার্চ মাসে প্রকাশিত কমিশনের অন্তবর্তীকালীন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছিল এবং প্রয়োজনে সমস্যা সমাধানে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বর্তমানে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এদেশে অবস্থান করছে। রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের কোনও নাগরিকত্ব নেই এবং তারা সামাজিক কোনও সুবিধাও পায় না।
১৯৮০ দশকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দলে দলে আসা শুরু করে। এরপর ২০১২ সালে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রোহিঙ্গা বিতাড়ন করার জন্য মিয়ানমার সরকারের চেষ্ঠার কারণে প্রচুর রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
কফি আনানের নেতৃত্বে রাখাইন কমিশন ২০১৬ সালে গঠিত হয়। এর সদস্য ঘাসান সালামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ বছর বাংলাদেশ সফর করেছিল।