X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘মূল হোতাদের শাস্তি বহাল থাকাটাই স্বস্তির’

উদিসা ইসলাম
২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৭:২৪আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ০৬:১০

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের অন্যতম শিকার আইনজীবী চন্দন সরকার

‘যারা বাপি (বাবা)সহ অন্যদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার হয়েছে’ বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে ডা. সুস্মিতা সরকার। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার বিচার হওয়ায় এর অন্যতম শিকার চন্দন সরকারের হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর হবে এই প্রত্যাশা করেছেন সুস্মিতা।  এ সময় আদালতের রায়ের সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘মূল হোতাদের শাস্তির রায় বহাল থাকাটাই স্বস্তির’।

ডা. সুস্মিতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আজকে বাবার আত্মার শান্তি হবে। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় আমরা সেই আশায় আছি।’ সুস্মিতা এখন মিরপুরে একটি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। বাবার কথা উঠতে নরম হয়ে ওঠেন সুস্মিতা, বার বারই বলেন, ‘বাপি টার্গেট ছিল না। হত্যাকারীদের সাজা দ্রুত কার্যকর হোক।’ 

গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সাত খুনের মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের  কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ১৫ জনের ফাঁসি, ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড ও বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজার রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহত চন্দন সরকারের মেয়ে ডা. সুস্মিতা।

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের অন্যতম শিকার চন্দন সরকারের মেয়ে ডা. সুস্মিতা সেন।

বিচারিক আদালতে ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল সেখানে হাইকোর্টে এসে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলো এতে করে কোনও শঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা বাপিকে হত্যা করেছিল তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল আছে। বাপি টার্গেট ছিল না। পরিস্থিতিতে পড়ে তিনি নিহত হয়েছেন।’ 

‘বাপি বলতে চোখের সামনে যে মানুষটা এখনও ভাসে আত্মত্যাগী একজন মানুষ’। সুস্মিতা কিছুক্ষণ সময় নিয়ে থিতু হয়ে বলেন, ‘বাবা অন্যরকম ছিলেন। বাবা অনেক বড় মনের মানুষ এবং সবসময় অন্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়ার মানুষ ছিলেন। অচেনা মানুষদেরও তিনি কোনও সহযোগিতা করার ক্ষমতার মধ্যে থাকলে পিছুপা হতেন না। তার এই গুণটির কারণেই তিনি ফল ভোগও করেছেন। এসময় এরকম মানুষের দেখা মেলা ভার।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন হত্যাকাণ্ডে শুধু নজরুলই খুনিদের টার্গেট ছিলেন। চন্দন সরকারসহ অপর পাঁচজন পরিস্থিতির শিকার বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন চন্দনের পরিবার। মামলার তদন্তেও এসব বিষয়ের সত্যতা বেরিয়ে আসে।

পুলিশের তদন্ত ও বিচার চলাকালে আসামিদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে চন্দন সরকার আদালত থেকে নিজের গাড়িতে বাসায় ফিরছিলেন। এ অবস্থায় আগে চন্দন সরকারের গাড়ি এবং পেছনে নজরুলের গাড়ি লিংক রোড দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছালে অপহরণকারীরা গাড়ি থামায়। ওই সময় অপহরণকারীদের মধ্যে কাউকে চিনে ফেলেন প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকার। এ কারণে খুনিরা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালককে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বজনদের দাবি।

সুস্মিতা এসব বলতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মূল হোতা যে ৫ জন তাদের রায় বহাল থাকাটাই স্বস্তির। আমার আস্থা রয়েছে। ন্যায়বিচার পেয়েছি।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক