X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় কারও কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:৪১আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:৫৮

সংসদে প্রধানমন্ত্রী (ফাইল ছবি) ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় কারও কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রায়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন ধরনের কথা বলে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। আমাদের সংসদ, গণতন্ত্র— সবকিছু নিয়েই কথা বলেছেন। এর উদ্দেশ্য কী, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
বুধাবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদে) মইন উদ্দিন খান বাদলের আনা এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়।
সংসদের সার্বভৌমত্বের কথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, ‘এই সংসদই সার্বভৌম। এই সংসদই সংবিধান রচনা করে। সংসদই জনগণের অধিকারের সুরক্ষা দেয়, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। এই সংসদ যে আইন পাস করে সেই আইন দ্বারা বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগ— তিনটিই চলে।’
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সংসদকে এভাবে হেয় করা, রাষ্ট্রপতিকে হেয় করা, তার ক্ষমতাকে কেড়ে নেওয়া, জাতির পিতা সম্পর্কে কথা বলা, স্বাধীনতার সংগ্রাম নিয়ে প্রশ্ন তোলা— এগুলো তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার লেখায় অনেক সাংঘর্ষিক বিষয় রয়েছে। এটা কোথা থেকে, কিভাবে কারা তৈরি করে দিয়েছে— সেটাও একটা প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে গণতান্ত্রিক ধারা শুরু করেছি। যখনই গণতান্ত্রিক ধারা চলতে থাকে তখনই যেন কোথা থেকে একটা বাধা আসে, গণতান্ত্রিক ধারা ব্যহত হয়। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, সংসদ একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে। কেউ কাউকে ছোট করবে, কেউ কাউকে খাটো করবে— এটা উদ্দেশ্য নয়।’
সংসদ নেতা আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হবে। ভোটের অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। জনগণের শক্তিই মূল শক্তি। জনগণের এই সম্মান ও অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হবে।’
সংসদ ও বিচার বিভাগের এখতিয়ারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা সমান অধিকার ভোগ করি। কিন্তু আইনের আওতায় চলতে হয়। বিচার বিভাগের ক্ষমতা দেওয়া আছে— আইনের কোনও ব্যত্যয় হলে তারা ব্যাখ্য দিতে পারেন। কিন্তু তারা আইন করতে পারেন না। সংবিধান সংশোধন করতে পারেন না। এটা পারে কেবল আইন বিভাগ। আপিল বিভাগ তো সংবিধান তৈরি করে দিতে পারে না। তাকে সংবিধান সেই ক্ষমতা দেয়নি।’
সবাইকে জবাবহিদিতার মধ্যে থাকতে হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি (প্রধান বিচারপতি) বলেছেন, জবাবদিহিতা করবেন না। জবাবদিহিতা সবার থাকতে হবে। আমাদেরও জবাবদিহিতা করতে হয়। ৫ বছর পরপর আমরা জনগণের কাছে যাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতির পিতাকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করে, তিনি (প্রধান বিচারপতি) তার রায়ে তেমন উক্তিই করেছেন। তিনি ‘আইনেস’ আর ‘উইনেস’ কী হবে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যে হবে, সেখানেও তো ‘আইনেস’-‘উইনেস’ এসে যায়। আমিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলে তিনি নিজেই আমিত্ব প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। এই দ্বৈতনীতি তো হতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীতে আল্ট ভাইরাস বলে মার্শাল ল’ দ্বারা প্রণীত বিধানকে সংবিধানের মূল কাঠামো বলেছেন। এটা বলার উদ্দেশ্যটাই কী?’ এরই মধ্যে অবৈধ ঘোষণা করা মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্স কী করে মূল কাঠামো হয়— সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

/ইএইচএস/টিআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার বিকল্প নেই
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার বিকল্প নেই
জনগণ এনডিএ জোটকে একচেটিয়া ভোট দিয়েছে: মোদি
জনগণ এনডিএ জোটকে একচেটিয়া ভোট দিয়েছে: মোদি
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
অতিরিক্ত মদপানে লেগুনাচালকের মৃত্যু
অতিরিক্ত মদপানে লেগুনাচালকের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া