নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক উদ্যোগে সাহায্য করছে বাংলাদেশের মানুষ। ক্যাম্পে থাকা লাখ লাখ রোহিঙ্গা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি বা সাংগঠনিক উদ্যোগে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা চলছে।
এরই অংশ হিসেবে সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছে ‘বনশ্রী ইয়ুথ ক্লাব’। ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান জুয়েল জানান, তারা কোরবানি ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার করতে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। বনশ্রী-সি ব্লকে তারা একটি ত্রাণ সংগ্রহ বুথ খুলেছেন। এরই মধ্যে আড়াই লাখ টাকার মতো অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। বনশ্রীর তরুণ-যুবকরা একসঙ্গে মিলে এই ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ক্রিকেটার আশরাফুলের বড় ভাই মোস্তাক আহমেদ শিপন বলেন, ‘আমরা কিছুদিন ধরেই ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী রবি-সোমবার নাগাদ রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ নিয়ে যাবো। বিশেষ করে শুকনো খাবার, মুড়ি, গুড়সহ খাদ্যদ্রব্য দেবো।’
‘আবাসননিউজ’ এর সম্পাদক ইবনুল সাঈদ রানা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে বনরুটি ও বিস্কুট বিতরণ করেছেন বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। ত্রাণ দিতে যাওয়ার আগে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যটাসে তিনি লিখেছেন, ‘অনাহারী জনের কাছে এক টুকরো খাবার কত যে প্রিয় তা আপনি কখনও অনাহারি হয়ে থাকলে মনে করুন।’
বুধবার তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘পরিমাণে হয়তো খুব সামান্য, তারপরও আমার ছিু ত্রাণ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।’
এছাড়া রাজনৈতিক সমাজিক অনেক সংগঠন এরই মধ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখে আসার পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ করছেন। সরকার ব্যক্তি বা বেসরকারি সংগঠনের উদ্যাগে ত্রাণ বিতরণের সুনির্দিষ্ট পন্থা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
গণসংহতির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ নিয়ে ফেরার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘টেকনাফ, উখিয়ায় এক ভয়াবহ মানবিক দুর্যোগের মধ্যে সেখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। খাদ্য ও ন্যূনতম বাসস্থানের সংকট, তার ওপর বিরাট স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি। গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে আমরা সাধ্যমত খাদ্য ও স্যানিটেশন সহায়তার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন:
টেকনাফে ভাড়া থাকছেন রোহিঙ্গারা (ভিডিও)