X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রেহিঙ্গা শিশুদের ক্ষতিপূরণে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান চুমকির

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:১২আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৬

শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও প্রতিকূলতা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা

মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও প্রতিকূলতা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডিআরইউ এবং ইউনিসেফ।

অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের যে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়েছে তা কীভাবে পূরণ করবে বিশ্ব? আমরা চাই না বিশ্বের একটি শিশুরও ক্ষতি হোক। আমরা ত্রাণ দিতে পারবো। কিন্তু শিশুদের মানসিক বিকাশে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে পারবো না।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার কারণে এ পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষ এসেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে দুই লাখই শিশু। এসব শিশুদের মধ্যে এক লাখ শিশু আট বছর বয়সী। শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের সময় এটি।

এ ব্যাপারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশা শিশুদের ওপর যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্পেশাল আইডি করছি। তাদের ত্রাণ দিচ্ছি। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব শিশুর জন্য আমরা কাজ করছি।’

চুমকি বলেন, ‘আট বছর বয়সে শিশুর মানসিক বিকাশ ঠিকমতো না হলে সে শিশুর সব বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। যারা শিশু নির্যাতন করে তাদের বেড়ে ওঠার তথ্য অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, তারা শিশু অবস্থায় ভালোভাবে বেড়ে ওঠেনি।’

মাদকাসক্ত শিশুদের রাস্তা থেকে ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক জীবন দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে চুমকি বলেন, ‘আমরা পথে কোনও শিশু দেখতে চাই না। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। দেশের জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ শিশু। এদের বিকাশ ঘটাতে পারলে এটি হবে সম্পদ। তবে সব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আপনার শিশু কোথায় কার কাছে রাখছেন, কে নিরাপদ, কোথায় রাখা নিরাপদ, মানসিকক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে কিনা তা অভিভাবকদের ভাবতে হবে।’

গোলটেবিল আলোচনায় ইউনিসেফের এডুকেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, ‘চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গা এসেছে এর মধ্যে দুই লাখ শিশু। এসব শিশুদের মধ্যে এক লাখ শিশু আট বছর বয়সী। যাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ প্রয়োজন। শারীরিক বিকাশের জন্য খাদ্য-পুষ্টি যেমন প্রয়োজন, তেমনি মানসিক বিকাশও প্রয়োজন। 

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘ভ্রুণ অবস্থায় থাকাকালীন সময় থেকে শিশুর মানসিক বিকাশের চিন্তা করতে হবে। মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।’

এসময় সাংবাদিক সেলিম সামাদ বলেন, ‘বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। যেখানেই ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে তা সাধারণের জন্য। শিশুদের জন্য আলাদা ত্রাণ দেওয়া হয় না।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) সাবেক নেতা খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, ‘শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সরকার সিডো সনদে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ জন্য প্রকল্প নিয়েছে। শিশুদের বিকাশে ইউনিসেফকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।’

গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন ডিআরইউ সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, সাংবাদিক শফিকুল কবির সাবু, সাংবাদিক মাহমুদা চৌধুরী, শাহনাজ বেগম প্রমুখ।

আরও পড়ুন
এক হাজারের বেশি ছিন্নমূল রোহিঙ্গা শিশু বাংলাদেশে এসেছে

/এসএমএ/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা