X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘চাল আসছে, ভয়ের কারণ নেই’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৪আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:০৮


খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম
বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে তাই দেশবাসীর ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় চালের দামের ঊর্ধ্বগতির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন তিনি।
চাল আমদানির ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আরও বলেন,‘ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল এসেছে। জাহাজিকরণ হয়েছে দুই লাখ ৫২ হাজার টন। এরমধ্যে সরকারের গোডাউনে উঠেছে এক লাখ টন। বাকিটা জাহাজে আছে। অতিবৃষ্টির কারণে আমরা জাহাজ থেকে সেই চাল খালাস করতে পারিনি। প্রতিদিন আট হাজার চাল খালাসের সক্ষমতা থাকলেও বৃষ্টির কারণে আমরা দুই হাজার টন খালাস করতে পারছি। এছাড়া কম্বোডিয়া থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির এলসি হয়ে গেছে। অক্টোবরে এক লাখ ও নভেম্বরে পুরোটাই  পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে মিয়ানমার গিয়েছি।  “যুদ্ধ  এবং কূটনীতি একসঙ্গে চলবে । যুদ্ধ এবং বাণিজ্য একসঙ্গে চলবে।”  প্রধানমন্ত্রীর এই বাণী নিয়েই আমি মিয়ানমার গেছি।   আগামী রবিবার মিয়ানমারের টিম বাংলাদেশে আসবে। তখন আমরা তাদের সঙ্গে দুই লাখ টন চালে আমদানির চুক্তি করবো।’
‘১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চাল রফতানি করবে না ভারত’ বাংলা ট্রিবিউনে এ সম্পর্কিত খবর প্রকাশের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ তথ্যটি সত্য কী মিথ্যা তা আমি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। হতে পারে সত্য। কিন্তু আমি এখনও নিশ্চিত নই।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টেন্ডারের মাধ্যমে সাড়ে ৩ লাখ টন চাল আমদানি হচ্ছে। এই চাল আনতে ইতোমধ্যে জাহাজিকরণ হয়েছে ১ লাখ টন। বাকিটাও হচ্ছে, অক্টোবরের মধ্যে আমরা সাড়ে ৩ লাখ টন না পেলেও ৩ লাখ টন পেয়ে যাবো। সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে পুলিশ, বিডিআর, আনসার, র‌্যাব, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ভিজিএফ, এজিবি এবং ত্রাণ এসব খাত মিলিয়ে প্রয়োজন হবে মাত্র ১৫-১৬ লাখ টন চাল।  তাই  ভয়ের কোনও কারণ নেই। সরকারি খাতের চাল খরচ করতে কোনও সমস্যা নেই।  ডিসেম্বর থেকে সরকারি গুদামে চাল মজুদ হতে থাকবে। এছাড়া  সেপ্টেম্বর-নভেম্বর এই তিন মাসে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টন চাল লাগবে।  আমরা সামনে আমন ফসল পাবো ১ কোটি ৪০ লাখ টন।  এর ফলে ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি সরকারি খাতগুলোয় চাল বরাদ্দ দিতে কোনও সংকট হবে না।  
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতির সংকটের কিছু নাই। তারপরেও চালের বাজার কেন অস্থির হলো তা বিচার বিশ্লেষন হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের মিলার, চাল আমদানিকারক, চাল ব্যবসায়ী এবং আড়তদারদের ডেকেছি মিটিংয়ের জন্য। ওই মিটিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন,  ‘আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে নেগেটিভ আচরণ চাই না।  চাল একটি ‘সেনসেটিভ’ পণ্য। তাই আপনাদের অনুরোধ করছি, এমন রিপোর্ট লিখবেন না যাতে চালের দাম বেড়ে যায়।  আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
অসৎ মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও সময় আছে ভালো হয়ে যান।  আপনাদের এই কর্মকাণ্ড সরকার আর বরদাস্ত করবে না।  আপনাদেরকে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।  চালের বাজার অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’


/এসআই/এআর/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল