X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা চায় গণফোরাম

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৭আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৩১

 

ইসির সঙ্গে সংলাপে গণফোরামের প্রতিনিধি দল নির্বাচনের সময় সরকার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে ড. কামাল হোসেরে নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। একইসঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরিপিও) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে দলটি। বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে ২২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। বিকাল ৩টায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।

সংলাপ শেষে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জনগণের ঐক্যের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক, তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তবে সুষ্ঠু হতে হলে নির্বাচনের সময় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দলীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। দলীয় সরকার বদলি, পদায়নের কাজ করতে পারবে না। গণফোরাম সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, প্রার্থীরা যেন নির্ভয়ে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারেন, সেই পরিবেশ চায়। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন হতে না দিলে জনগণ বঞ্চিত হয়। এতে ফল একতরফা হয়ে যায়। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ হয়, সেটাও অকার্যকর হয়।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘পেশীশক্তি আর অর্থশক্তি যে আমাদের গণতন্ত্রকে আঘাত দিয়েছে, তা আজ আমরা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি। দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আইনের শাসন থাকবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে, এসব নিয়ে কোনও বিভাজনের সুযোগ নেই।’

প্রশাসনের নিরপেক্ষ আচরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘আমার দলের লোক আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে আর প্রতিপক্ষ সব রকমের আইনি হয়রানির শিকার হবে, এটা আইনের শাসন নয়। সরকারি দলের জন্য আইনের এক ধরনের প্রয়োগ আর বিরোধী দলের জন্য অন্য ধরনের প্রয়োগ, তা হয় না।’

সাংবিধানিকভাবে সরকারের নিরপেক্ষভাবে দেশ পরিচালনার কথা কিন্তু বাস্তবে সেটা হয় না বলেও গণফোরাম সভাপতি মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের সুপারিশগুলো নির্বাচন কমিশন আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে।’

কী ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করে যেটি গ্রহণযোগ্য  হয়, তাই করতে হবে।’

এদিকে সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে গণফ্রন্ট। সংলাপে দলটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, আসন বাড়িয়ে ৪৫০টি করাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করে।

দলটির অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করা; নাম ও প্যাড সর্বস্ব, অফিসবিহীন রাতারাতি গড়ে ওঠা অনিবন্ধিত দলগুলো যেন নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করতে না পারে, সেজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন; নির্বাচনের অন্তত ছয়মাস আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া; সীমানা পুনর্বিন্যাস করার জন্য আইনি কাঠামো সংস্কার করা, পাশাপাশি বাস্তবতার নিরিখে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যূনতম সংখ্যা ৩৫০/৪৫০ করা; প্রবাসীদের ভোটার করা; নারী আসনবৃদ্ধি, প্রতি জেলায় একজন নারী সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ; ধর্মবিরোধী দলের নিবন্ধন বাতিল ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

 

/ইএইচএস/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!