X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘জাতিগত বিদ্বেষ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের শিকার রোহিঙ্গারা’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:৪৩আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:৫৪

বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শোষণ-নির্যাতন চলে আসছে শত বছর ধরে। জাতিগত বিদ্বেষ আর বিভাজনের শিকার হয়েছে এই দীর্ঘ সময়। এখন এসে সেই বিদ্বেষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভূ-রাজনীতি, বাণিজ্য। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বলি হয়ে যেমন জাতিগত নিধনের শিকার হতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের, তেমনি বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোও এসব বিষয়ে মুখ খুলছে না। গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নির্যাতন যখন গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, তখনও কেবল মিয়ানমারের সম্পদের ওপর অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকেই তারা নিশ্চুপ থাকছে। ফলে এসব দেশের স্বার্থের বলি হতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।
মুন্নী সাহা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত ‘ভূ-রাজনৈতিক অঙ্কের শিকার রোহিঙ্গা’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান, কূটনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সম্পাদক মাঈনুল আলম, শিক্ষক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ এবং বাংলা ট্রিবিউনের প্ল্যানিং এডিটর নজরুল কবীর।
শিক্ষক ও গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান বৈঠকিতে শিক্ষক ও গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচায়ের সমস্যা শত শত বছরের পুরনো। মূলত সমস্যার সূত্রপাত ১৮২৪ সাল। তখন অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এলাকায় প্রবেশ করে। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার ভূখণ্ড স্বাধীন হওয়ার সময় মিয়ানমার বললো, ১৮২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সালের মধ্যে যারা বাংলাদেশ অঞ্চলে চলে গেছে, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে না। এর ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নাগরিত্ব থেক বঞ্চিত হয়। এভাবেই তারা বাস্তুহারা হয়ে একবার বাংলাদেশে আসে, একবার ফিরে যায় মিয়ানমারে। তাদের নিজস্ব ঠিকানা আর হয় না।’
ড. সলিমুল্লাহ আরও বলেন, ‘বর্তমানে সেখানে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ চলছে। পাকিস্তান করছে, ভারত করছে; এখন মিয়ানমার পিছিয়ে কেন থাকবে, ওরাও শুরু করে দিয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক অঙ্ক এখন ধর্মীয় জায়গায় চলে গিয়েছে। এরও বড় কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক স্বার্থ। রাখাইন রাজ্যে সম্পদের ওপর ভাগ বসাতে চায় প্রতিবেশী দেশগুলো।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখন পর্যন্ত চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। এত মানুষকে কিভাবে বাংলাদেশ রাখবে? ওরা তো মিয়ানমারের মানুষ। কিন্তু মিয়ানমার তাদের স্বীকার করে না।’ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেবে না বলেই মিয়ানমার আদমশুমারি থেকে তাদের বাদ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কূটনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক ডিফেন্স অ্যাটাশে মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতনের ঘটনাটি বিস্ময়-জাগানিয়া হলেও রোহিঙ্গাদের ওপর এমন নির্যাতন নতুন কিছু নয়। আরাকান (রাখাইনের সাবেক নাম) যখন জাপানিজরা দখল করেছিল, তখন বার্মার (মিয়ানমারের সাবেক নাম) স্থানীয়রা বড় ধরনের লুটপাট চালায়। ব্রিটিশ আর্মি তখন যুদ্ধ করে ওই আরাকান দখল করে। অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে বেশ কয়েকবছর পর ১৯৬২ সালে আবার শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন। অর্থাৎ অনেক আগে থেকেই রাখাইনের এই জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে মিয়ানমার। পরে ১৯৯৪ সালে রোহিঙ্গাদের কাউকে কাউকে মিয়ানমার নাগরিকত্ব দিলেও বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই নাগরিকত্ব পাননি। বর্তমানে রাখাইনকে ‘মুসলিম ফ্রি’ অঞ্চল করার মিশনে নেমেছে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এই হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে। তার চেয়েও বড় কথা, ওই অঞ্চলের সম্পদের দিকে নজর রয়েছে অনেক রাষ্ট্রের।’
শিক্ষক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ শিক্ষক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের কারণ আপাতদৃষ্টিতে ভূ-রাজনৈতিক মনে করা হলেও এর পেছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে। এই সংকটের উৎপত্তি জাতিগত বিভাজন থেকে। মূলত জাতিগত বিদ্বেষ, জাতিগত ঘৃণা ও জাতিগত নির্যাতন এই সংকটের বড় একটি কারণ। এর বড় আরেকটি কারণ জাতিগভাবে মিয়ানমার রাষ্ট্রের গঠনের ইতিহাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মিয়ানমারের একটি ইউনিয়ন হওয়ার কথা থাকলেও পরে সেই চেতনা বদলে যায়, মিয়ানমার পরিণত হয় ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে। এই ধর্মও মিয়ানমারের এই সংকটের অন্যতম একটি কারণ।’
তিনি বলেন, ‘১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীন হয় অং সানের (বর্তমানে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চি’র বাবা) নেত্বত্বে। কিন্তু এই স্বাধীনতা অর্জন তার একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ওই সময় কাচিং, সাংসহ আরাকানের (রাখাইন রাজ্যের সাবেক নাম) রাখাইন জাতিগোষ্ঠীও এই স্বাধীনতার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। ওই সময় বার্মার একটি ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে ওঠার কথা ছিল। বলা হয়েছিল, প্রতিটি জাতি নিজেদের মতো করে স্বাধীনতা পাবে, তাদের জায়গা-জমির হিস্যা পাবে। কিন্তু পরে আর এই চেতনা কাজ করেনি। তখন জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়।’
আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে রোহিঙ্গারাও নিজেদের স্বাধীনতার অধিকার পায়নি। এর একটি কারণ হলো- রোহিঙ্গারা রাজনৈতিকভাবে অসংগঠিত। তারা নাগরিক অধিকার থেকে শুরু করে সব ধরনের অধিকার থেকেই বঞ্চিত। এ জন্যই রোহিঙ্গাদের ওপর এত অত্যাচার-নির্যাতন হয়।’
বৈঠকিতে এই শিক্ষক ও গবেষক বলেন, ‘এই সংকটে ভাষা একটি ইস্যু হলেও মূলত ধর্মও এই নির্যাতন ও জাতিগত নিধনের অন্যতম কারণ। নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক অধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক অধিকার অনেক আগেই খর্ব হয়ে গিয়েছে। কারণ, তাদের রাজনৈতিক প্রার্থী হওয়ার অধিকার খর্ব হয়েছিল। আর এর পেছনের অন্যতম কারণ ছিল ধর্ম।’
রোহিঙ্গা সংকটের সঙ্গে ভূ-রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এখন এই সংকটে ভূ-রাজনীতিও যুক্ত হয়ে পড়েছে। এর একটি কারণ খনিজ সম্পদ। কিন্তু বাংলাদেশের এই বিষয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনেক দেশই বাংলাদেশের পাশে এগিয়ে এসেছে।’
দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ্য কূটনৈতিক প্রতিবেদক মাঈনুল আলম দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সম্পাদক মাঈনুল আলম বৈঠকিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কেবল গণহত্যা নয়, এটা মানবিকতা হত্যায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই এলাকার প্রতিবেশী দেশগুলোর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে যে সেখানে কিছুই হচ্ছে না। গণমাধ্যমে অনেক খবর এলেও এসব দেশ নিজেদের স্বার্থের কারণেই এই ইস্যুতে চুপ হয়ে আছে।’
মাইনুল আলম বলেন, ‘খনিজ সম্পদে ভরপুর একটি দেশ মিয়ানমার। বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে অনেক খনিজ সম্পদ রয়েছে। ফলে সেখানে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরির আগ্রহ রয়েছে এই অঞ্চলের দেশগুলোর। রোহিঙ্গা নিধন শুরুর পর পর নরেন্দ্র মোদি যখন মিয়ানমার সফলে গেলেন, তখন তাদের দুই দেশের অ্যাপ্রোচ দেখেই স্পষ্ট বোঝা গেছে যে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরিতে তৎপর। কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নেই, শুধুমাত্র বাণিজ্যিক ইস্যুকেই সামনে আনা হয় ওই সফরে।’
মাইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সমগ্র মিয়ানমারের দু’টি গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে শুরু করে জ্বালানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদের ওপর চীনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এ অবস্থায় ভারতও মিয়ানমারের ওপর প্রভাব রাখতে চায়। পরিস্থিতি দেখলে বোঝা যায়, ভেতরে ভেতরে একটি প্রতিযোগিতা চলছে।’
বাংলা ট্রিবিউনের প্ল্যানিং এডিটর নজরুল কবীর বাংলা ট্রিবিউনের প্ল্যানিং এডিটর নজরুল কবীর বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও তাদেরকে নিধন শুধুমাত্র জাতিগত কারণে হচ্ছে, তা নয়। রোহিঙ্গা নিধনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর একটি হচ্ছে ব্লু ইকোনমি। এর সঙ্গে আমেরিকা, ভারত ও চীনের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। রাখাইন রাজ্যটি এমন একটি স্থানে, যেটি ভূ-রাজনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই এলাকায় খবরদারি করতে পারলে তা যেকোনও দেশের জন্যই লাভজনক হবে।’
নজরুল কবীর আরও বলেন, ‘জানি না আমেরিকা আমাদেরকে কতদিন পর্যন্ত কূটনৈতিক সমর্থন করবে। কারণ, আমেরিকাও চায় এই সমুদ্রের ওপর একটা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। যেহেতু চীন ও ভারত অনেক বেশি ঝুঁকে গেছে মিয়ানমারের দিকে, তাই আমেরিকা আমাদের ওপর ঝুঁকেছে। এখন এই পরিস্থিতিতে আমরা সব ধরনের অধিকার বজায় রেখে কতদূর এগিয়ে যেতে পারব, তা অনেকটাই নির্ভর করবে আমাদের কূটনীতির ওপর।’
বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে বৈঠকিটি সরাসরি সম্প্রচার করে এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখানো হয় বৈঠকি।
আরও পড়ুন-
‘পরিকল্পনা করেই রোহিঙ্গাদের নিধন করা হচ্ছে’

‘ব্লু ইকোনমির কারণে রাখাইনে অনেক দেশের স্বার্থ আছে’
‘রোহিঙ্গা সংকটের সঙ্গে মিয়ানমারের ইতিহাসও জড়িয়ে আছে’

‘স্বার্থের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশগুলো চুপ করে আছে’
‘ভূ-রাজনৈতিক অঙ্কের শিকার রোহিঙ্গা’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি শুরু

‘স্বীকৃতি দেবে না বলেই আদমশুমারি থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়েছে মিয়ানমার’

/আরএআর/টিআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
কুড়িগ্রামে বৃষ্টির জন্য নামাজ, এপ্রিলে সম্ভাবনা নেই বললো আবহাওয়া বিভাগ
কুড়িগ্রামে বৃষ্টির জন্য নামাজ, এপ্রিলে সম্ভাবনা নেই বললো আবহাওয়া বিভাগ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা