বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ২শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এ অর্থ ব্যয় হবে শেড নির্মাণ, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য কাজে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রীকে এ তথ্য দেন আইওএম মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং মতবিনিময় করেন। এসময় মন্ত্রীকে আইওএম মহাপরিচালক জানান, আগামী ২৩ অক্টোবরে জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইওএমের সভায় রোহিঙ্গাদের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হবে। এ বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে আইওএম। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রায় চার হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। সংস্থাগুলো এ অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে বলেও মন্ত্রীকে জানান আইওএম মহপরিচালক।
ল্যাসি সুইং মন্ত্রীকে বলেন, ‘অভিবাসীদের এমন দুঃখ-কষ্ট, বিপর্যয় ও বর্বরতার ঘটনা আগে দেখিনি। এটা জাতিগত নিধন। বাংলাদেশ একটি জাতিরক্ষায় যে ধরনের মানবিকতা দেখিয়েছে, এটা নজীরবিহীন।’ বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে মহাপরিচালক এই সাহসিকতা ও মানবিকতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় মন্ত্রী সুইংকে জানান, তিন হাজার একর এলাকায় ২০টি ব্লক করে রোহিঙ্গাদের রাখা হয়েছে। এই এলাকায় লক্ষাধিক শেড নির্মাণ করা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাসহ সব অসুস্থ রোহিঙ্গাকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এখানে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। ১০ হাজারের বেশি এতিম রোহিঙ্গা শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছে। এত মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও দৈনন্দিন পানির জোগান দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় ওই এলাকায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ত্রাণমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার চাপ বাড়ানোর জন্য আইওএম মহাপরিচালককে অনুরোধ জানান। আইওএমের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ওপর এ চাপ অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রীকে আশ্বাস দেন ল্যাসি সুইং।
আরও পড়ুন-
সীমান্তে ফের রোহিঙ্গাদের ঢল, দুই দিনেই এসেছে ৪৫ হাজার