নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপের জন্য ২২টি নারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) সংলাপে ১১ সংগঠন থেকে মাত্র ১৩ জন প্রতিনিধি এসেছিলেন। প্রত্যাশিত পরিমাণ প্রতিনিধি উপস্থিত না হওয়ায় কমিশনকে নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পরে সংলাপ শুরু করতে হয়। সংলাপ শুরু করতে দেরি হওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা দুঃখপ্রকাশ করেন। গত তিনমাস ধরে চলা সংলাপে এই প্রথম নির্ধারিত সময়ের পরে সংলাপ শুরু হলো।
জানা গেছে, সংলাপের নির্ধারিত সময় ছিল সোমবার সকাল ১১টা। এসময় পর্যন্ত মাত্র আট জন নারীনেত্রী উপস্থিত হন। বেলা সাড়ে ১১টায় সংলাপ শুরুর সময়ও উপস্থিত ছিলেন ১০ জন প্রতিনিধি। পরে আরও তিন নারী প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে সংলাপে অংশ নেন। এর মধ্যে দু’টি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ইসির সংলাপের প্রাথমিক পরিকল্পনায় নারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা ইসির ভাবনাতে ছিলেন না। পরে বিভিন্ন নারী সংগঠনের আপত্তির মুখে কমিশন তাদের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয়।
সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীদের অবস্থানের কথা আমরা সবাই জানি। এ অঞ্চলে বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মতো নারীরা সামাজিক দ্বার উন্মোচন করেছেন। সেই পথ ধরে জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে দেশের নারীদের পদচারণার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘সরকার পরিচালনায় নীতি নির্ধারণ, রাজনীতিতে দফতর ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা, বিচার কাজ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কূটনীতি, শ্রমবাজার, এমনকি ইসিতেও নারীদের অবস্থান সুসংগঠিত রয়েছে। দেশ গঠনে, দেশ পরিচালনায় নারীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সংলাপে আগতদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের পরামর্শ ও গুরুত্বপূর্ণ মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনা করতে চাই।’
সংলাপে যোগ দেওয়া নারীনেত্রীরা হলেন— রোকেয়া কবির, মালেকা বানু, রেখা চৌধুরী, অ্যারোমা দত্ত, ফাতেমা আক্তার, নাসরিন বেগম, ফরিদা ইয়াসমিন, রীনা সেন গুপ্ত, পারভীন সুলতানা ঝুমা, মাহবুবা বেগম, রেহানা সিদ্দিকী, মাসহুদা খাতুন শেফালী ও মনসুরা আক্তার।