X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

১৬০০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি সরকারি প্রতিষ্ঠানে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৩৪আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪৬

বিদ্যুৎ

দেশের সাধারণ জনগণ ও বেসরকারি সংস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিদ্যুৎ বিল আদায়ে সরকার খড়গহস্ত হলেও বিল পরিশোধ করে না  সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই। খোদ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,সংস্থা ও বিভাগগুলোর কাছেই এক হাজার ৬শ’ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের। এই বিলের অর্ধেকেরও বেশি পাওনা রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে। এছাড়াও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,শিক্ষা,স্বরাষ্ট্র,বস্ত্র ও পাট,শিল্প-কৃষিসহ মোট ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে দেনাদারের তালিকায়। আজ সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর কাছেই বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে। কিন্তু, সেবামূলক সংস্থা হওয়ায় বিল আদায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতেও পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এর সুযোগ নিয়ে বকেয়ার পরিমাণ বাড়িয়েই চলছে সরকারি এ সংস্থাগুলো। আজ বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উঠে এলে বকেয়া বিল আদায়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সংসদ  ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), মুহিবুর রহমান মানিক, মো.তাজুল ইসলাম এবং সামশুল হক চৌধুরী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ আমন্ত্রণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠকে যোগদান করেন।

কার্যপত্র থেকে জানা গেছে,  সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের কাছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের অর্ধেকেরও বেশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। তবে বিলের অঙ্ক জানা যায়নি।

কমিটির পক্ষ থেকে বকেয়া আদায়ের পদক্ষেপ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায় যে বকেয়া বিলের বড় একটি অংশ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের কাছে। আর এসব প্রতিষ্ঠান রাতে সড়কে বিদ্যুৎ বাতি জ্বালানোর কারণে তাদের বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। এখন বকেয়া আদায়ের জন্য তাদের লাইন কেটে দিতে গেলে রাস্তাঘাট অন্ধকার হয়ে যাবে। এতে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ। যার কারণে তারা ইচ্ছা করলেও এসব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের লাইন বিচ্ছিন্ন করতে পারছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এক হাজার ৬শ’ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকি আছে। আমরা কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়কে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের উদ্যোগ নিতে বলেছি।

বৈঠক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিদ্যুৎ বিলের দেনাদারের তালিকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরেই রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নাম। এরপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র, বস্ত্র ও পাট, শিল্প-কৃষিসহ মোট ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে এ তালিকায়। তবে কোন মন্ত্রণালয়ের কাছে কত পাওনা তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

বৈঠকে আগামী ১-৮ নভেম্বর ২০১৭, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লমেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ৬৩তম সম্মেলনে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

/ইএইচএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
বুধবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
বুধবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
‘রানা প্লাজার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে’
‘রানা প্লাজার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টি-টোয়েন্টিতে অনিশ্চিত রিজওয়ান
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টি-টোয়েন্টিতে অনিশ্চিত রিজওয়ান
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী