প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশটাকে উন্নত করবো। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশ চালাচ্ছি। তারপর জনগণের ইচ্ছা, যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে। কারণ আমি স্লোগান দিয়েছিলাম আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই।’
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে ভালোবেসে দেশ চালাই। বাবার কাছ থেকে যা শিখেছি, দেশের উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়, সে চিন্তা করেই দেশ চালাচ্ছি। সেজন্য সফলতাও আসে দেশের। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তো এই মর্যাদাটা ধরে রাখবেন,না মানি লন্ডারিং, ওই শপিং মলের মালিক, নাকি খুন-খারাবি করা, বোমাবাজি, মানুষ খুন, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা তাদেরকে নেবেন। এটা তো জনগণের ওপর নির্ভর করে। এখানে আমার কোন কিছুই করার নাই। আমরা দেশটাকে স্বাধীন করেছি। দেশটাকে উন্নত করবো সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি’
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে গত ৩ নভেম্বর দেশটির রাজধানী নমপেনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের সরকারি সফর শেষে কম্বোডিয়া থেকে ৫ ডিসেম্বর বিকালে দেশে ফেরেন তিনি। তার এই সফরে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি পর্যটন, কৃষি, বেসামরিক বিমান চলাচল, আইসিটি ও কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ঢাকা ও নমপেনের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুই দেশের জাতির পিতার নামে নামকরণের ঘোষণাও দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার রয়েল প্যালেসে রাজা নরদম সিহামনের দেওয়া রাজকীয় অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন। কম্বোডিয়ান চেম্বারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সংলাপে অংশ নেওয়া ছাড়াও তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন।
এছাড়া কম্বোডিয়ার স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে দেশটির প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। নমপেনের কেন্দ্রস্থলে তুল সেলং জেনোসাইড মিউজিয়ামও পরিদর্শন করেছেন তিনি।
২০১৪ সালে ১৬ থেকে ১৮ জুন শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।
আরও পড়তে পারেন:
পত্রিকা পড়ে দেশ চালাই না: প্রধানমন্ত্রী
তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আসতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী