X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

আনিসুল হক যা করেছেন, যা ছিল পরিকল্পনায়

শাহেদ শফিক
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:৩৩আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:৪১

মেয়র আনিসুল হক
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দুই বছর সময় পেয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। এ সময়ের মধ্যে বেশ কিছু সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। শহরকে পাল্টে দিতে প্রায় অর্ধশত প্রকল্পও তালিকাভুক্ত করেন। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজও শুরু হয়। বাকি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দৃঢ় স্বপ্ন ছিল তার। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেন তিনি। তবে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেয়র অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার সেই কাজগুলো ধীরে ধীরে ভেস্তে যেতে থাকে।

আনিসুল হকের উন্নয়ন কাজ

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডিএনসিসির মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক। ১৪ মে দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরীর সৌন্দর্য্যবর্ধন ও সবুজায়ন, খেলার মাঠ, পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, উন্মুক্ত স্থান, সড়কবাতি জ্বালানো, সড়ক ও ফুটপাত নির্মাণ, সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতা, জলাবদ্ধতা নিরসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, মশক নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ‘সমস্যা চিহ্নিত, সমাধান যাত্রা’ নামে একটি নির্বাচনি ইশতেহারও ঘোষণা করেন তিনি। সে প্রতিশ্রতি অনুযায়ী একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ, নিরাপদ, স্মার্ট, আলোকিত ও মানবিক ঢাকা গড়ে তোলার অভিযাত্রা শুরু করেন আনিসুল হক।
দুই বছর আগেও ঢাকার রাজপথে মানুষের দৃষ্টিসীমা জুড়ে ছিল নানা আকারের রংবেরঙের বিলবোর্ড। রাস্তার পাশে, ভবনের ছাদে কিংবা দেয়ালে হাজারো বিলবোর্ড শহরের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিত। ঢাকার স্বাভাবিক রূপ ফেরাতে বিলবোর্ড ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। এ বিষয়ে কাউকে এতটুকু ছাড় না দিয়ে গত দু’বছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় যত্রতত্র লাগানো প্রায় ২০ হাজার বিলবোর্ড অপসারণ করান তিনি।
গাবতলী ও আমিনবাজারে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকাটা ছিল নিত্য ঘটনা। সেই অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করেন মেয়র আনিসুল হক। তিনি অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে আর অবৈধ পার্কিং চোখে পড়েনি। তবে সুযোগসন্ধানীরা আবারও সেখানে অবৈধভাবে পার্কিং করা শুরু করায় এখন আবার আগের চিত্রে ফিরে যাচ্ছে গাবতলী ও আমিনবাজার। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও এখনও কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে।
তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেন মেয়র আনিসুল হক। এটি উচ্ছেদ করতে গিয়ে অবরুদ্ধও হন তিনি। তবুও হাল ছাড়েননি। উচ্ছেদ করেই ছেড়েছেন। সেখানে এখন প্রশস্ত সুন্দর রাস্তা। তিনি বাগে মোনায়েম, ঢাকা ওয়েস্টিন বা ম্যারিয়ট হোটেল, রাশিয়া, ইতালি কিংবা সৌদি দূতাবাস কাউকে রাস্তা কিংবা ফুটপাত দখলে রাখতে দেননি।
মেয়রের একান্ত প্রচেষ্টায় স্বেচ্ছায় পারিবারিক কবরস্থান সরিয়ে নিয়েছেন উত্তরার সরকারবাড়ি আর মিরপুরের মাতবরবাড়ির বর্তমান বংশধরেরা। শুধু তাই নয়, উত্তরায় রাস্তার পাশের অতি মূল্যবান ৪৮০ বর্গফুট জমি রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য সিটি করপোরেশনকে দান করার নজিরও রেখেছেন মেয়র।
ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংস্থার এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার রাস্তা ও এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার উন্মুক্ত নর্দমা এবং ৩২৫ কিলোমিটার ফুটপাতের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেন আনিসুল হক। এরই মধ্যে ‘উত্তরা আদর্শ শহরের ১ ও ৩ থেকে ১৪ নম্বর সেক্টরের রাস্তা, নর্দমা এবং ফুটপাত নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’, ‘গুলশান, বনানী ও বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার সড়ক, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্প’ এর আওতায় ৪২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৬ কিলোমিটার রাস্তা, ২৪২ কিলোমিটার নর্দমা এবং ৬৯ কিলোমিটার ফুটপাত উন্নয়ন কাজ শেষ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও তার সময়ে রাজধানীতে ২টি চলন্ত সিঁড়িসহ ৫৫টি ফুটওভার ব্রিজ, ২টি আন্ডারপাস, পর্যাপ্ত সংখ্যক জেব্রা ক্রসিং, ১০টি উন্নতমানের আধুনিক পাবলিক টয়লেট, রায়ের বাজারে ৫২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬ দশমিক ২৩ একর জমিতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কবরস্থান স্থাপন, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে গাবতলীর গৈদারটেক এলাকায় ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।’
এছাড়াও ডিজিটাল নগরী গড়তে ‘নগর’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নাগরিকরা ঘরে বসেই বিভিন্ন নাগরিক সেবা সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে থাকেন। নগরবাসীর পরামর্শ ও অভিযোগ সরাসরি মেয়র দেখতে পান। করপোরেশনের পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি এবং করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ ঢাকা গড়তে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনসহ কূটনৈতিক পাড়ায় ৬৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ‘ঢাকা চাকা’ নামে এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ বাস সার্ভিস’ চালু করা হয়েছে।
প্রথম অবস্থায় ডিএনসিসির প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে দৃষ্টি নন্দন ফুলগাছ লাগানো হলেও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তার করুণ দশা বিরাজ করছে। নগরবাসীর মধ্যে ৩২ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৭৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমিকম্প পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ জোন পর্যায়ে উদ্ধার কার্যক্রমে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৫২টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ করা হয়েছে। আমিনবাজার সেনেটারি ল্যান্ডফিল সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজের সব যানবাহনের ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস) স্থাপনের মাধ্যমে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গত অর্থবছরে ১৬৮ কিলোমিটার ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে নগরীর নর্দমা দ্রুত পরিষ্কারের জন্য ১টি অত্যাধুনিক জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন কেনা হয়েছে। নগরবাসীর সুবিধার্থে নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ১ হাজার ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার পাত্র স্থাপন করা হয়েছিল। যদি তার দীর্ঘদিন টিকেনি। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য রাজধানীর মিরপুরে ৬ তলা বিশিষ্ট নগর মাতৃসদন ও হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়।
মশক নিধন কার্যক্রমে ২০০টি হ্যান্ডস্প্রে মেশিন ও ১১০টি ফগার মেশিন, ১০টি হুইল বারো মেশিন এবং ১টি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ফগার মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার কুকুর বন্ধ্যাকরণ করা হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়র মহাখালী কাঁচাবাজারে দৈনিক ১৫০টি বড়পশু এবং ৫০০টি ছোটপশু জবাই ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সর্বাধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণ করেন।

আনিসুল হকের যত পরিকল্পনা:
আনিসুল হকের স্বপ্নের প্রকল্পগুলোর মধ্যে স্মার্ট ঢাকা ছিল আলোচিত। যানজট নিরসনে মহাখালী-গাজীপুর পর্যন্ত ইউলুপ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। এ দুটি প্রকল্পের মধ্যে ইউলুপ নির্মাণ প্রকল্প অনেক দূর এগুলেও থমকে আছে স্মার্ট ঢাকা নির্মাণ প্রকল্প।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে চার হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন আনিসুল হক। কিন্তু মেয়রের অনুপস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া শাহাবুদ্দিন পার্ক, বনানী পার্ক ও মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড মাঠে পার্কের নকশাও নির্মাণ করেছিলেন আনিসুল হক। বাকি শুধু এগুলোর বাস্তবায়ন। হাতিরঝিলের মতো আরও ৩টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র। উত্তরার দিকে জলনিসর্গ নামে একটি প্রকল্প করার ইচ্ছে ছিল তার। এছাড়া কল্যাণপুরের পেছনে গিয়ে গাবতলীর পাশে এবং রামপুরা কাটাসুর খালকে কেন্দ্র করে প্রকল্পের অনুমোদন প্রায় শেষপর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ঢাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পাল্টে দেওয়ার জন্য ‘সবুজ ঢাকা’ নামের বিশেষ সবুজায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন আনিসুল হক। করপোরেশনের বিভিন্ন সমস্যায় দিনে-রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও নগরবাসীর আস্থাভাজন হয়েছেন তিনি। কিন্তু তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সব যেন আগের চিত্রে ফিরতে থাকে। দখল হতে থাকে উদ্ধার হওয়া সব জায়গা।
চলতি মেয়াদেই মেয়র আনিসুল হক তার সংস্থাকে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন আধুনিক নগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঘটে ছন্দপতন। গত ২৯ জুলাই লন্ডনে যান আনিসুল হক। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ) আক্রান্ত এই গুণীজন গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র ওসমান গণি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়রের গ্রহণ করা চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। আর যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য তিনি স্বপ্ন দেখেছেন আমরা সেগুলোর জন্য কাজ করব।’

 

/এসএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী