X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে যাওয়া হয় না প্রধানমন্ত্রীর

পাভেল হায়দার চৌধুরী
১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:০১আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৫২

রায়েরবাজার বধ্যভূমি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া হয় না প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। মূলত জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই তিনি সেখানে যান না। সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত। আর রায়েরবাজারের ঐতিহাসিক এই স্থানটি যেহেতু স্মৃতিসৌধ নয়, বধ্যভূমি- সেটিও প্রধানমন্ত্রীর না যাওয়ার কারণ হিসেবে কাজ করে। কেন রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শেখ হাসিনার যাওয়া হয় না সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগের নেতারা এসব তথ্য জানান।   

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটিতে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। যেহেতু মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত স্মৃতিসৌধ, তাই সেখানে যাওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে শেখ হাসিনা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে আর যাননি। তবে এর আগে কয়েক দফা সেখানে গিয়েছেন তিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে।

রায়েরবাজার বধ্যভূমি

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালায়। ১৯৯৬ সালের পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে এই স্থানটি চিহ্নিত করে সেখানে গণহত্যার শিকার শহীদদের ম্যুরাল ও বেদী নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। উদ্যোগ নেওয়া হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। সেই থেকে এই জায়গাটিকে ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর এলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হাজারো মানুষ ভিড় করেন রায়ের বাজারের এই বধ্যভূমিতে।  

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই দিনে সেখানে গেলে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় ব্যাঘাত ঘটবে। রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ নয়। এটা একটা বধ্যভূমি। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মূলত শ্রদ্ধা জানানো হয়। রায়েরবাজার হলো বধ্যভূমি, আর মিরপুর হলো বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। তাই দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয় সেখানে যাওয়ার। এটা অনেক আগের দলীয় সিদ্ধান্ত।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যান। এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উপলক্ষ। আর রায়ের বাজার হচ্ছে বধ্যভূমি। সেখানে তো স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়নি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সেখানে গেলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে। এসব বিবেচনায় সেখানে যাওয়া হয় না।’

আরও পড়ুন- 

রায়েরবাজার বধ্যভূমি এখন যেমন

মুক্তিযুদ্ধের পর বুদ্ধিজীবীদের লাশ যেভাবে শনাক্ত করা হয়

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা