সারাদেশে (৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত) বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৭৮৯টি বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, দেশের নিম্ন আদালতে ২৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৪টি এবং উচ্চ আদালতে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
মন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের মামলার মধ্যে আপিল বিভাগে ১৬ হাজার ৫৬৫টি (দেওয়ানি ১১৩০৭ ও ফৌজদারি ৫২৫৮) এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০টি (দেওয়ানি-৯৩১৭৪, ফৌজদারি-২৯৭৬৩৫, রিট আবেদন-৭৬৭৭০)। নিম্ন আদালতের মামলার মধ্যে ১২ লাখ ৭৯ হাজার ১৭টি দেওয়ানি ও ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৭টি ফৌজদারি।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছর ও তার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলমান মামলার সংখ্যা ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৬টি। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে রয়েছে দুই লাখ ৯২ হাজার ২৩টি।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুরনো মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য সমন জারি এবং সাক্ষীদের হাজিরা নিশ্চিত করে দ্রুততম সাক্ষ্য গ্রহণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার উৎস অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়ে থাকে। ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার বিষয়ে আদালতের নজরে এলে আদালত ভিন্ন কোনও মামলায় তাকে আটক রাখার প্রয়োজন না হলে মুক্ত করে দেয়। পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসিসহ আন্তঃবিভাগীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সন্দেহজনক গ্রেফতারি পরোয়ানা বা মামলায় গ্রেফতারের পূর্বেই পরোয়ানার সত্যতা যাচাই করার জন্য সহযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার প্রতারক চক্রের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমেছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
