X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

অপকর্ম না করলে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ হবে না: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:১৩আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:২৬



প্রেস ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ অপকর্ম না করলে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে বলে মনে হবে না, তখন এটি প্রয়োগ হচ্ছে বলে মনে হবে। প্রস্তাবিত ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকি বাড়বে কিনা, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।


ইতালিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে দেশে ফেরার পর আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গণভবনে এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের ঘোষণা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আপনি সব সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বন্ধুদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার কথা বলেছেন। কিন্তু ১৯৭৪ সালের যে আইন, সেটি পূর্ণাঙ্গভাবে সংশোধিত আকারে না পাওয়ার কারণে এটা এখনও বিলম্বিত হচ্ছে। এবিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগামী জুনের অধিবেশনে এটি সংসদে পাস হবে। আরেকটি বিষয়, ৫৭ ধারা বাদ দিয়ে ডিজিটাল আইন হয়েছে, এটি নিয়ে বিতর্কও আছে। আমরা সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি কথা বলি— ডিজিটাল ক্রাইম হচ্ছে, সাইবার ক্রাইম হচ্ছে। এসব মোকাবিলা করার জন্য ডিজিটাল আইন দরকার, সাইবার আইন দরকার। এবিষয়ে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই। আমরা এ আইনের পক্ষে। কিন্তু আমরা দেখেছি, আইনটি কখনও কখনও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে, গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। কাজেই যে আইনটির খসড়া আপনি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করেছেন, আমরা মনে করি, চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে যদি আরেকটু আলোচনা করে সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ হবে না, এটি নিশ্চিত করা যায়।’
নবম ওয়েজ বোর্ডের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মালিকপক্ষই প্রতিনিধি পাঠাতে দেরি করেছে। না হলে আমরা আরও আগেই করে দিতে পারতাম। আর ১৯৭৪ সালের আইনটি আধুনিকায়ন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। কাজেই এটা হবে।’
সাইবার আইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আপনাদের এত আশঙ্কা কেন, সিআরপিসি আইনেও ছিল— কেউ মানহানির অভিযোগ করলে সাংবাদিকদের গ্রেফতারের বিষয় ছিল। আমি তা সংশোধন করে সমন জারির মধ্যে নিয়ে এসেছি। আর কেউ যদি কোনও অপকর্ম না করে তাহলে অপপ্রয়োগ হবে কেন? একটা আইন পাস করার জন্য অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এটা এখনও প্রক্রিয়াধীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখলাম মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের বড় একটি দল বিএনপি তাদের সংবিধান সংশোধন করলো। সে সংশোধনের মধ্য দিয়ে তাদের যে ধারা ছিল— দুর্নীতিবাজদের তারা দলে নেবেন না, সেটি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করলেন। রাজনীতিকরা যদি এভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এভাবে দুর্নীতিবাজদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়, তাহলে সেই দেশে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া কতটা সম্ভব হবে?’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলেন। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে বা ব্যক্তি বিশেষে এই দুর্নীতি করলে কেউ কথা বলেন না। কোর্ট রায় দিলেও দোষ আসে সরকারের ওপর। বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভালো একটা ধারা ছিল, ৭ ধারা। কোর্টের রায়ের আগেই তারা তাদের সংবিধানের ধারা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। এর জবার আমার দেওয়া সম্ভব না, এটা আপনারা তাদের কাছেই জানতে চান।’ 

/এএইচ/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিতে এসে ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়ে গেলো মিয়ানমার
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিতে এসে ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়ে গেলো মিয়ানমার
প্রার্থিতা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা দলীয় নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা
উপজেলা নির্বাচনপ্রার্থিতা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা দলীয় নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা