নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে সারাদেশ আজ শোক পালন করছে। দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আজ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পোশাকে কালো ব্যাজ ধারণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) রাষ্ট্রীয় শোকদিবস পালনের বিষয়ে বুধবার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ (বিএস ২১১) বিধ্বস্ত হয়ে ২৬ বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় এই রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন ছাড়াও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভে আগামীকাল শুক্রবার দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে গোটা জাতি নিহত ব্যক্তিদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রীয় শোক পালনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় আকস্মিক দুর্ঘটনায় ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত দেশি-বিদেশি ৫১ জন আরোহীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশের লক্ষ্যে ১৫ মার্চ একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। এদিন দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপনের পর যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের জন্য দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আরা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এরইমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।