X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি সড়কে, দুর্ভোগে নগরবাসী

শাহেদ শফিক
২৩ মে ২০১৮, ১৩:১৯আপডেট : ২৩ মে ২০১৮, ২১:২২

ডিএসসিসিতে আওয়াজ বেশি, কাজ কম এ বছর (২০১৮) থেকে রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। গত বর্ষায় জলাবদ্ধপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করতে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন একাধিক বার বলেছিলেন, ‘শিগগিরই নগরীর জলাবদ্ধতা সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসা হবে।’ এজন্য অনেক প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নগরবাসীর অভিযোগ—কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো জলাবদ্ধতা আরও বেড়েছে। আর ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলছেন, প্রয়োজনীয় অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। জলাবদ্ধতা কমে আসবে।

গতবছরের ২৬ জুলাই সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা সভা শেষে পল্লী উন্নয়ন সমবায় ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনও মেয়রদের আশ্বাসের পর একই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্রমিজ করছি, সামনের বছর থেকে আর এসব (জলাবদ্ধতা) দেখবেন না। কিছুদিনের মধ্যেই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বর্তমান জলাবদ্ধতা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিটা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি, কোন জায়গায় আটকা পড়ছি। সে জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেব। ভারী বৃষ্টি হলেও যেন তিনঘণ্টার মধ্যে পানিনিষ্কাশন হয়, সে ব্যাপারে ওয়াসাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে ঢাকার দুই মেয়র ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানরা একবছর সময় চেয়ে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মন্ত্রীকে। একই বছরের ২৪ এপ্রিল মেয়র সাঈদ খোকন জলাবদ্ধপ্রবণ শান্তিনগর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, ‘শান্তিনগরে এই বর্ষা মৌসুমে ৮৫ ভাগ জলাবদ্ধতা কমেছে। যেটুকু হচ্ছে, তা ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের জন্য হচ্ছে। এই বছরের জুন ও জুলাইয়ের মধ্যে শান্তিনগরের ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ হবে। আগামী আগস্টের মধ্যে জলাবদ্ধতা একেবারেই থাকবে না। ডিএসসিসির উন্নয়ন কাজের ফলে গত বছরের চেয়ে এ বছর জলাবদ্ধতা অনেক কম। পুরো কাজ বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধাতা চিত্র বদলে যাবে।’

কিন্তু মেয়রের এমন ঘোষণা বাস্তবের কোনও প্রতিফলন পাওয়া যায়নি বলেই নগরবাসীর অভিযোগ। তারা বলছেন, এবছরও সামান্য বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি পর্যন্ত হাঁটুপানি থেকে কোমরপানি জমছে। বিগত বছরগুলোয় জলাবদ্ধপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় মেয়রকে হাঁটুপানিতে নেমে প্রতিশ্রুতি দিতেও দেখা গেছে। এতে আশ্বস্তও হয়েছিল নগরবাসী।কিন্তু এবছর এপ্রিলের শেষের দিকের বৃষ্টিতে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এদিকে, জলাবদ্ধপ্রবণ ৪৮টি এলাকা চিহ্নিত করেছে খোদ ডিএসসিসিই।

সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ তথ্য ও সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জলাবদ্ধপ্রবণ এলাকাগুলো হচ্ছে—মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, সেগুনবাগিচা, পল্টন, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, সার্কিট হাউজ রোড, রাজারবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরাপুল ও আরামবাগ। প্রতিবেদনে বলা হয়—এসব এলাকার পানি সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট, কমলাপুর পাম্প, মানিকনগর খাল, জিরানি খাল ও মাণ্ডাখাল হয়ে বালু নদী ও বুড়িগঙ্গায় চলে যায়।

এদিকে, ধানমন্ডি-২৭, রাপা প্লাজা, ধানমন্ডি-৮/এ স্টাফ কোয়ার্টার মোড়, কাঁঠাল বাগান, গ্যাস্ট্রোলিভার গলি, কলাবাগান ডলফিন গলি, গ্রিনরোড, মাদারটেক ও মেরাদিয়া। এই এলাকাগুলোর পানি নিষ্কাশন হয় পান্থপথ বক্স কালভার্ট-হাতিরঝিল হয়ে রামপুরা খাল দিয়ে বালু নদীতে। নিউমার্কেট পশ্চিম-দক্ষিণ পাশের বটতলা, বিজিবি-৪ নং গেটের পানি বিজিবি ৩ নং গেট, নাজিমউদ্দিন রোড, হোসেনি দালান, চকবাজার, লালবাগ, কাজী আলাউদ্দিন রোড ও বংশাল। এই এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় বুড়িগঙ্গা সুইচগেট হয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে। অন্যদিকে গুলিস্তানের পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই। এ কারণে বৃষ্টিতে সচিবালয় ও বঙ্গভবন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদায়ও জলাবদ্ধতা দেখার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় বাসাবো-মাদারটেক-ত্রিমোহনী খাল হয়ে বালু নদী ও বুড়িগঙ্গায় গিয়ে পড়ে। কাপ্তান বাজার, লক্ষ্মীবাজার ও আগামসি লেনের পানি নিষ্কাশন হয় ইংলিশ রোড-ধোলাইখাল বক্স কালভার্ট হয়ে সূত্রাপুর পাম্পে। জুরাইন, পোস্তগোলা, মুরাদপুর, শ্যামপুর, কদমতলা ও দয়াগঞ্জ রেল ব্রিজের পানি নিষ্কাশন হয় জিয়া সরণি খাল-রসুলবাগ-শিমরাইল পাম্প (পানি উন্নয়ন বোর্ড) হয়ে শীতলক্ষ্মায় গিয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকায় দীর্ঘসময় ধরে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। বৃষ্টিতে এসব এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকে। 

জানা গেছে, এই জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে খরচ হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই গত কয়েক দিনের সামান্য বৃষ্টির পর রাজধানীর চিহ্নিত এলাকাগুলোয় জলাবদ্ধতা খুব একটা কমতে দেখা যায়নি। জলাবদ্ধপ্রবণ শান্তিনগর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বড় একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে ডিএসসিসি। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরেও এই এলাকায় জলাবদ্ধতা কমছে না।

জানতে চাইলে শান্তিনগরের বাসিন্দা ও বেসরকারি একটি স্কুলের শিক্ষক নোমান ছিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শান্তিনগরে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে সিটি করপোরেশন যে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে, তাতে মনে হয়েছে অন্তত এ বছর থেকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবো। কিন্তু দেখি আগের মতোই চিত্র।’ তিনি বলেন, ‘শান্তিনগরে যে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, তার মুখের অংশ পরিষ্কার নয়। এছাড়া ড্রেনের নিচের অংশে ওয়ার্টার লেভেল ঠিক করা হয়নি। যে কারণে পানি দ্রুত সরে যায় না।’

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধপ্রবণ এসব এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য গত দুই বছরে ডিএসসিসির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। এ বছর সড়ক, ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণে ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরেছে ডিএসসিসি। এরই মধ্যে প্রায় সব টাকা খরচ করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া একটি মেগা প্রকল্পের এক হাজার ২০২ কোটি টাকা থেকে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে কয়েক কোটি টাকা ড্রেন নির্মাণে ব্যয় করেছে। এরপরও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র জানায়, বর্তমানে শহরের অন্যান্য এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৪০০ কিলোমিটার ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। নাজিমউদ্দিন রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য হাতে নেওয়া প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকার বৃষ্টির পানি দ্রুত সরে যাওয়ার জন্য ২৬১ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার ড্রেন, ২৫৯ দশমিক ৬১ কিলোমিটার সড়ক, ৫১ দশমিক ৫১ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তা, ২৭ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। নবসংযুক্ত ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়ায় ১৫২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার ফুটপাথ, ১৫৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। এছাড়া মান্ডা, ডেমরা, নাসিরাবাদ ও দক্ষিণগাঁও এলাকার জন্য ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রাস্তা, ৪৮ কিলোমিটার ড্রেন, ৭ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার ফুটপাত ও ১৭টি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এর পরেও জলাবদ্ধতার কোনও সুখবর নেই।

ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মিলে ড্রেন ও খাল পরিষ্কার করার কাজে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, সেই পরিমাণ সুফল মেলেনি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের জুনে ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে একটি জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন কিনে আনে ডিএসসিসি। তখন বলা হয়েছিল যন্ত্রটি নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন লাইনে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা টেনে নিয়ে পানি আলাদা করে ড্রেনে ছেড়ে দেবে। এর মাধ্যমে মাত্র ১০ মিনিটে ১২০ মিটার ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। একেকটি যন্ত্র দিয়ে গড়ে দৈনিক ২২ ঘণ্টা কাজ করা যাবে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেশিন দু’টি দিয়ে জলাবদ্ধতা দূর করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদদের পাশাপাশি খোদ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসসিসির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেভাবে আওয়াজ দিয়ে জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন কেনা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ঢাকায় আর কোনও জলাবদ্ধতা থাকবে না। কিন্তু এই মেশিন তো কোনও কাজই করতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে মেয়রও এখন ক্ষুব্ধ।’

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সঠিক কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই জলাবদ্ধতা নিরসনের ঘোষণা অর্থহীন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সহ-সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা বিষয়ে গত বছরের ১৬ জুলাই আন্তঃবিভাগীয় এক সমন্বয় সভায় আমি বলেছিলাম, সিটি করপোরেশনকে প্রধান করে অন্য সম্পর্কিত সংস্থাগুলোকে সহায়ক সংস্থা হিসেবে রেখে জলাবদ্ধতার সমাধান করতে হবে। বর্তমানে জলাবদ্ধতা বিষয়ে যে আইনি কাঠামো আছে, তাতে সিটি করপোরশন রাস্তার দুই পাশের সারফেস আর সসার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। জলাবদ্ধতার প্রধান কাজ খাল ও স্টর্ম ড্রেন ঢাকা ওয়াসার। এ অবস্থায় সব সংস্থা যদি একসঙ্গে কাজ করতে না পারে, তাহলে ড্রেন বা জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে না। এজন্য ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় টাকা খরচ করে কোনও কাজ হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের কাজের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে। আমরা প্রতিটি কাজে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে কাজ করেছি। নগর গড়ার কাজে অংশগ্রহণ করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আমি বলেছি প্রতিটি মানুষকে এক একজন মেয়রের ভূমিকরা রাখতে হবে।’ জলাবদ্ধতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে জলাবদ্ধতা অনেক কমেছে। জলাবদ্ধপ্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে শান্তিনগর অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেখানে এখন আগের মতো জলাবদ্ধতা নেই। এখন এক জায়গা থেকে সেরে উঠলে অন্য জায়গায় নতুন করে দেখা দেয়। বৃষ্টির সময় যেখানেই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সেখানেই জলাবদ্ধতা দেখা গেছে সেখানেই ছুটে গেছি।’

পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের পরের ঢাকার দুই মেয়র যেভাবে কাজ শুরু করেছে তা খুবই আশাব্যঞ্জক ছিল। এখন সেই তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেক ঝিমিয়ে পড়েছে। এছাড়া ঢাকায় প্রচুর মানুষের বসবাসও রয়েছে। সেই তুলনায় সিটি করপোরেশনের দিক থেকে যে পরিমাণ অ্যাকটিভ লোক থাকার উচিত, সেই পরিমাণ নেই। সেই কারণেই আমরা বেশি সন্তুষ্ট হতে পারি না। তবে আগের তুলনায় একটু সামনের দিকে এগিয়েছে দুই সেটি করপোরেশন।’

 

/এমএনএইচ/আপ-এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?