নির্যাতনের শিকার হয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের আল খোবার এলাকার একটি ক্যাম্পে আটকে থাকা বাকি চার নারী গৃহশ্রমিকও দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকালে জেট এয়ারওয়েজ-এর একটি ফ্লাইটে তারা শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামেন।
দেশে ফিরে আসা এই চার নারী শ্রমিক হলেন– গাইবান্ধার সাথী, ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকার মাজেদা বেগমের মেয়ে বিলকিস, নওগাঁর লতা, শ্যামপুর সাতক্ষীরার নুরজাহান।
দেশে ফিরে আসা চার নারী শ্রমিক জানান, বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে জেট এয়ারওয়েজ-এর একটি ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামেন তারা।
বিমানবন্দরে নামার পর ওই চার নারী শ্রমিককে ঘিরে ধরেন তাদের স্বজনরা। এসময় সেখানে সাংবাদিকরা ছাড়াও মানবাধিকারকর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি ছিলেন।
এসময় সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি অভিযোগ করেন, ‘দেশে ফিরে আসার জন্য অন্য কেউ দায়ী নয় বলে নির্যাতিত নারীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং তার অনেক প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।’
বিমানবন্দরে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সাথীর স্বামী আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, সাথী শারীরিকভাবে ভালো আছে। তবে একটু পরেই প্রকৃত অবস্থা জানতে পারবো।’
গত ১৮ মে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের আল খোবার এলাকার একটি ক্যাম্পে আটকে থাকা পাঁচ জন নারী গৃহশ্রমিক দেশে ফিরেন। এর মধ্যে বাকি ছিলেন এই চার নারী।
গত ২৩ এপ্রিল দালালদের খপ্পরে পড়ে আল মনসুর ওভারসিজ অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব যান ৯ জন গৃহশ্রমিক। সেখানে কাজ শুরু করার পরই গৃহকর্তা ও বাড়ির লোকজনের কাছে নির্যাতনের শিকার হন তারা। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দাম্মামের আল খোবার এলাকার একটি ক্যাম্পে ঠাঁই হয় তাদের। কিন্তু সেখানে থাকা অবস্থাতেও তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এই ঘটনায় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রীতির তৎপরতায় রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস গত শুক্রবার পাঁচ জনকে দেশে পাঠায়। আজ বাকি চার জনকেও দেশে ফিরলেন।