X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন ৪০ নারী শ্রমিক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ মে ২০১৮, ২২:৩১আপডেট : ২৭ মে ২০১৮, ২৩:২৫

 



বিমানবন্দরে সৌদি থেকে ফিরে আসা নারী শ্রমিকরা
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এলেন আরও ৪০ জন নারী শ্রমিক। তারা সবাই সৌদি আরবের সেফ হোম এবং ডিপোর্ট সেন্টারে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। রবিবার (২৭ মে) রাত ৮টায় এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তারা।




এর আগে গত ১৯ মে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন ৬৬ জন নারী শ্রমিক। আর ২০ মে ফেরেন ২১ জন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাস কল্যাণ ডেস্ক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রবিবার ৪০ জনের দলে আসা হাজেরা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে ৪০ জন আইছি। সেখানের অবস্থা ভালো না। আরও লাখ লাখ মেয়ে আটকা পড়ে আছে। তাদের আপনারা নিয়ে আসেন।’
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের তথ্য কর্মকর্তা আল আমিন নয়ন বলেন, ‘আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা ফেরত এসেছেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ১২০ জনকে ফিরিয়ে আনার আবেদন করেছি। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে বিভিন্ন সময় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের যাবতীয় সাহায্য করছি। পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবো।’
রবিবার রাত ৮ টায় এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশি কনস্যুলেটের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করে।
সূত্রটি জানায়, এই ৪০ জন নারী শ্রমিকের ফেরতের ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: হিসাব নেই বিদেশ থেকে ফেরত আসা নারী শ্রমিকদের


প্রসঙ্গত, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে বাংলাদেশের নারীরা দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবাননসহ বিশ্বের ১৮টি দেশে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালে অভিবাসী নারীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯২৫ জন। এ সংখ্যা মোট অভিবাসন সংখ্যার ১৩ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।
১৯৯১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত অভিবাসনপ্রত্যাশী নারী শ্রমিককে একাকী অভিবাসনে বাধা দেওয়া হলেও পরে ২০০৩ এবং ২০০৬ সালে কিছুটা শিথিল করা হয়। ২০০৪ সালের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নারী শ্রমিকের অভিবাসন হার বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় মোট অভিবাসনের ১৯ শতাংশে। কিন্তু এ হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

 

 

/এসও/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেচাকেনা জমজমাট, কম দামে ভালো পাঞ্জাবিতে আগ্রহ ক্রেতাদের
বেচাকেনা জমজমাট, কম দামে ভালো পাঞ্জাবিতে আগ্রহ ক্রেতাদের
‘মাঝেমধ্যে ভাবি, আইপিএল কি আদৌ ক্রিকেট’
‘মাঝেমধ্যে ভাবি, আইপিএল কি আদৌ ক্রিকেট’
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
করোনার পর মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
করোনার পর মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়