X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সংসদে ক্ষোভ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুন ২০১৮, ২২:১৫আপডেট : ২২ জুন ২০১৮, ০৯:১৮

সংসদ অধিবেশন বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) খাতে  অর্থ বরাদ্দ না থাকা ও এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত না করায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা দ্রুত সঙ্গে এমপিও দেওয়ার জোর দাবি তোলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকরা (তাদের) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন।’ তিনি আশা করেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই অর্থবছরেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে।
শিক্ষকরা রাস্তায় কেন, এই প্রশ্ন রেখে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘শিক্ষাখাতের  বরাদ্দ খুবই কম। সরকার বলে তারা শিক্ষাবান্ধব, শিক্ষার জন্য তারা অনেক কিছু করেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করছে না। এমপিওভুক্তি সবার দাবি। শিক্ষামন্ত্রী শুধু নীতিমালার কথা বলে পাঁচ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত করেননি।’ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এমপিওভুক্তির প্রস্তুতি ও ঘোষণা দেওয়ার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বলা হয় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। কিন্তু   ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নেই। ইফতারের সময়, তারাবির সময় বিদ্য নাই। বড় বড় কথা বলে লাভ হবে না। বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসবে না।’

জাতীয় পর্টির (জেপি) সংসদ সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে নতুনভাবে এমপিওভুক্তি বন্ধ আছে। এরমধ্যে অন্তত ২০ বার শিক্ষকরা আন্দোলন করেছেন এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজেটে বরাদ্দের অভাবে এমপিওভুক্তি হয়নি।’ বাজেটে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

বাজেট আলোচনায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘একটি বিশেষ দলকে নির্বাচনে অপরিহার্য করে তোলার নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। এদেশে অনেক নিবন্ধিত দল আছে। নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় যে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করবে, সেই সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কোনও ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।’ যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের এ পথ ছেড়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান এই নেতা।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান বলেন, ‘এবারের বাজেটে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় বাংলাদেশ তার অগ্রযাত্রায় সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা আজ  নিজেই একটি বাংলাদেশ। তিনি বাংলাদেশকে যে অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন, তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথ দেখাচ্ছে। সারাদেশে ৩০০ আসনে এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়ন হয়নি। আজ  যারা এই উন্নয়ন দেখতে পায় না, তারা আর কোনও দিন উন্নয়ন দেখতে পাবে না।

বাজেট আলোচনায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সরকারি দলের সেলিনা বেগম, এবি তাজুল ইসলাম, সেলিনা আক্তার বানু, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, ওয়াসিকা আয়শা খান, স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবিনা আক্তার তুহিন, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মাহবুব আলী, সেলিনা জাহান লিটা, ইউনুস আলী সরকার, আব্দুল মালেক, গোলাম মোস্তফা, জাতীয় পার্টির শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ।

 

 

/ইএইচএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা