স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সব লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ী। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) নেদারল্যান্ডের হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্য রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে বুধবার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
স্পিকার বলেন, ‘এই সিম্পোজিয়াম কেবলই উৎসব নয়, বরং মানবতা লঙ্ঘনীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফরম। বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনা লগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেন,এখন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা। সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসি’র কাছে বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে। মিয়ানমার আইসিসি’র সদস্যভুক্ত নয়।
অনুষ্ঠানে রোম সনদের প্রেসিডেন্ট ও-গন কুয়ান, আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ওসুজি এবং আইসিসি’র প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌদা বক্তব্য রাখেন।