এ বছরের শেষ নাগাদ কিংবা আগামী বছরের শুরুতে স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল পদ্ধতি চালু করছে সরকার। স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার আওতায় দেশের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসমূহে স্থাপন করা হবে ৫০টি ই-গেট। ‘ই পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলো স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানান।
পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান জানান, ‘স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনায় থাকবে ই-গেট। এই ই-গেটে দ্রুততম সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসপোর্ট রিডার ও ক্যামেরার সাহয্যে চিপযুক্ত পাসপোর্ট যাচাই ও ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে। ভেরিফিকেশনে ব্যক্তির তথ্য সঠিক পাওয়া গেলে ই-গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। এ ব্যবস্থায় ভ্রমণকারীর পরিচিতি যাচাইয়ের মাধ্যমে দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা অধিকতর কার্যকরভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়ণের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ই-পাসপোর্ট চালু করতে জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর গর্ভমেন্ট টু গর্ভমেন্ট (জি টু জি) টার্নকি পদ্ধতিতে 'ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা' প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশে ৭২টি পাসপোর্ট অফিস, বিদেশে ৮০টি মিশন, ৭২টি এসবি-ডিএসবি অফিস, ২২টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ সব অফিসে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জার্মানিতে দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করছে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী