ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আর্থিক খাতের নিরাপত্তা বিধানে ডিজিটাল প্রযুক্তি সংগ্রহের পাশাপাশি সংগৃহীত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নিজস্ব মানবসম্পদ তৈরি করা অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক কনফারেন্স হলে ‘ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশল্যাস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। প্রতিদিন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাইরের প্রযুক্তি বা সফটওয়্যার ব্যবহারের এক সময় প্রয়োজন ছিল, কিছু প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য নিজেদের মানুষকে গড়ে তুলছি কিনা, সে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাংকিং খাতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা জড়িত। কাজেই নিরাপত্তা বিধানে নিজেদের সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য নিজস্ব জনবল তৈরি করার বিকল্প নেই।’
আইসিটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক বা যে কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে বিদেশ থেকেও যদি প্রশিক্ষক আনার প্রয়োজন হয়, তাও করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। ফরেনসিক ল্যাব থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন সবই করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল রূপান্তর বেগবান করতে এবং সাইবার নিরাপত্তা বিধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। তারই নেতৃত্বে ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশ নেতৃত্বকারী দেশ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।’ ডিজিটাল সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ই-কমার্স খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থপ্রতিম দেব এবং ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম হোসনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং আইসিটি সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন।