জাতীয় শোক দিবসে সব হারানোর বেদনার ভেতরেও প্রধানমন্ত্রীর মুখে খানিকটা প্রশান্তি এনে দিলো প্রমত্ত পদ্মাকে জয় করে জেগে ওঠা পদ্মা সেতু। হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে নির্মীয়মাণ পদ্মা সেতু দেখে এ অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে তার মুখে।
বাবাসহ গোটা পরিবার হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে ১৫ আগস্ট বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ শেষে হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা।
মনের বিষাদ কাটাতে তিনি হেলিকপ্টার থেকে নিচে দেশের জনপদের দিকে তাকান। নিজের হাতে গড়া সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে দেখতেই হেলিকপ্টার পার হতে থাকে পদ্মা নদী। প্রমত্তা পদ্মার বুকে দূর থেকে তাঁর চোখে পড়ে নির্মীয়মাণ পদ্মা সেতু। মুখটা খুশিতে ভরে ওঠে বঙ্গবন্ধু কন্যার। এ যেন এক অন্যরকম পাওয়া। পদ্মার দুই পারকে এক সুতোয় বাঁধতে প্রমত্তা পদ্মার বুকে জেগে উঠছে পদ্মা সেতু। হেলিকপ্টার থেকে নিজের স্বপ্নের এই বাস্তবায়ন দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। খুশির ঝিলিক খেলা করে তার চোখে মুখে। হাসিমুখে পদ্মা সেতুর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
এই সেই পদ্মা সেতু, যেটির কাজ শুরু হওয়ার আগেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তখন দৃঢ়কণ্ঠে কোনও দুর্নীতি হয়নি জানিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব ফান্ডে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাডার আদালতও দীর্ঘ তদন্ত শেষে রায় দেয় পদ্মা সেতুর সেই পরিকল্পনা পর্বে কোনও দুর্নীতি হয়নি। দুদকের তদন্তেও দুর্নীতির কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক, যেটির নির্মাণ শেষ হলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। বদলে যাবে বাংলাদেশ। ফোকাস বাংলা