দেশের বস্ত্রখাতের সম্প্রসারণ ও এই খাতের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সংসদে ‘বস্ত্র বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। বুধবার বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের পক্ষে বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ‘বস্ত্র বিল-২০১৮’ সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।গত ১০ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইনে বস্ত্র খাতে সরকারি, বেসরকারি, বৈদেশিক, বহুজাতিক কোম্পানি, দেশি-বিদেশি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বসহ অন্যান্য প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, রফতানিমুখী বস্ত্র শিল্পে ব্যবহার বা প্যাকেজিংয়ের জন্য আমদানি করা কাঁচামাল রফতানি বহির্ভূত বস্ত্র শিল্পে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিক্রি বা বাজারজাত করা যাবে না। বিলে বায়িং হাউজের নিবন্ধনের বিধান রাখা হয়েছে। বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক নিবন্ধকের দয়িত্ব পালন করবেন।
বিলে বস্ত্র শিল্পের জন্য আমদারি করা রংসহ অন্যান্য রাসায়নিক বা যেকোনও উপাদান যেকোনও পর্যায়ে বাজারজাতের সময় আমদানিকারকের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও আধুনিয়কায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া উৎপাদন উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, কাঁচামাল আমদানি ও রফতানি, নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ডিপ্লোমা ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
সরকার প্রয়োজনে বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে যাতে বস্ত্র শিল্পকে প্রণোদনা দিতে পারে সে জন্য খসড়া আইনে বিধান রাখা হয়েছে।