X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামাল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে সংসদে কথা বলতে চায় ক্ষমতাসীন দল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫৪আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫৬



ড. কামাল হোসেন (ফাইল ছবি) ড. কামাল হোসেন ও নব গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলতে চান সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। এজন্য তারা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে সংসদের এই অধিবেশনে সময় চেয়েছেন। রবিবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একটা অশুভ ঘটনা হতে চলেছে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই। তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে চাই।’ তবে, স্পিকার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ড. কামাল হোসেনের কঠোর সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন নিজেকে সংবিধানপ্রণেতা দাবি করেন। অনেকেই তাকে সংবিধান প্রণেতা বলেন। আমরাও গণপরিষদের সদস্য ছিলাম। সেই সংবিধানে আমাদেরও স্বাক্ষর রয়েছে। যিনি সংবিধান প্রণেতার দাবি করেন, তিনি কী করে সংবিধানপরিপন্থী কাজে বিশ্বাস করেন।’ তিনি বলেন, ‘যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত, তারা সাজাপ্রাপ্ত, কারও ফাঁসির হুকুম হয়েছে। একটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তার সঙ্গে কী করে ঐক্য করে? ঐক্য করা আর সংবিধান প্রণেতার দাবি করা এককথা নয়। অনেকেই এই বিষয়ে বলতে চায়। এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। হোমওয়ার্ক করবো। তথ্য নিয়ে আসবো। অনুমতি দিলে একটা দিন ভালো আলোচনা করবো। আমাদের কিছু কথা দেশবাসীকে জানাতে হবে। বেশকিছু তথ্য উপস্থাপন করবো, যা জাতির জানা প্রয়োজন।’
এর আগে বিএনএফের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদের সংবিধানের মুখবন্ধে বঙ্গবন্ধুর নামটি অন্তর্ভুক্ত করলেন না। এই সংবিধানের মুখবন্ধে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নাম নেই কেন, এতদিন পরে তা বোঝা গেলো। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক স্বীকার করেন না, জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেন, এতদিন পরে কামাল হোসেন তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন। এতদিন পরে প্রমাণিত হলো, তিনি বঙ্গবন্ধুর লোক ছিলেন না। তিনি বরাবরই পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। একাত্তরের যুদ্ধেও তিনি পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। সেই কারণে বলতে চাই, মুখবন্ধে বঙ্গবন্ধুর নাম অন্তর্ভুক্ত না করে যে অসততার পথ অবলম্বন করা হয়েছে, তার জন্য তার (ড. কামাল) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

/ইএইচএস/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা