নারী শিক্ষার্থীদের আইসিটি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আইসিটি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। কারণ, আমরা এই খাতে কোনও ডিজিটাল ডিভাইডেশন চাই না। এই খাতে সমতা নিয়ে আসার জন্য সামনে এগিয়ে আসতে মেয়েদের আহ্বান জানাবো।’
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর ১৪ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রাজধানীর ধানমন্ডির প্রধান ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা এগিয়ে আসছেন এবং উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছেন। এর পেছনে সরকারের অবদান আছে। যাদের শিক্ষা গ্রহণের সামর্থ্য ছিল না, তাদের জন্য সরকার বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সুযোগ পায়। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও অনেক কমে গেছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, যা একটি দেশের শক্তিমত্তা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণরা জ্ঞানের পেছনে ছুটছে, তারা শিক্ষা গ্রহণ করছে, তারা তাদের নিজেদের জীবন এবং একটি দেশেরও পরিবর্তন আনছে।’
ইউল্যাবের সাফল্যের প্রশংসা করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ভিডিওচিত্র দেখে বোঝা যায়, ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা দেশের করপোরেট জগত ছাড়াও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বিশাল জায়গাজুড়ে রাজত্ব করছে। এটা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শক্তিমত্তা। নেলসন মেন্ডেলা বলেছেন, পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে শিক্ষা অনেক ক্ষমতাবান অস্ত্র।’
বাংলাদেশে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তাদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ব্যাপারে আন্তরিক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যয়বহুল। উচ্চশিক্ষার দরজা সামর্থ্য অনুযায়ী সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্বেই একই প্রশ্ন করে, আমরা উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ করে কী ফেরত পাচ্ছি? তাই আমি মনে করি যারা উচ্চশিক্ষার জন্য উচ্চমূল্য পরিশোধ করে, তাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক শিক্ষা প্রদান করার দায়িত্ব রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার পর বিশ্বের সঙ্গে নিজেরাই সমঝোতা করতে পারে।’
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
আরও খবর: ইউল্যাবের ১৪ বছর উদযাপন