নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর থেকে যে সরকার আছে এটিই নির্বাচনকালীন সরকার। যদিও আমাদের সংবিধানে এ সরকার সম্পর্কে তেমন কিছু বলা নাই। এ মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সোমবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বৈঠকে দুটি আইনের খসড়ার অনুমোদনের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, এতে সাংবিধানিক কোনও বাধা নাই। এগুলো কেবিনেটের কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে। এগুলোকে রুটিন ওয়ার্কই বলা যায়। এখানে তো আর কোনও উন্নয়ন প্রকল্প নাই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার তো রেগুলারই আছে, কোনও সমস্যা তো দেখছি না।
আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার বলেন, আর যে নামই বলেন, এগুলো তো আমাদের দেওয়া নাম। এগুলো কনস্টিটিউশনাল (সাংবিধানিক) কোনও নাম নয়’।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া চার মন্ত্রী আজকের মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কারণ, আমাদের সংবিধানের বিধান মতে, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ একজন মন্ত্রী যদি উনার দয়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন, সেক্ষেত্রে সাবমিশন হচ্ছে, গেজেট নোটিফিকেশন হওয়া পর্যন্ত। ওনার পদত্যাগটা চূড়ান্ত হবে, যখন গেজেট নোটিফিকেশনটা হবে। যেহেতু তা হয় নাই, সেহেতু তারা মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন বলে গণ্য হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেবিনেট মিটিংয়ে আইন পাস করতে কোনও বাধা নাই।