X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘আইনের শাসন ছিল না বলে প্রধানমন্ত্রী বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:১১আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:১৪

বিচার প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন আইনমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আইনের শাসন ছিল না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রবিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা জজ, দায়রা জজ এবং মেট্রোপলিটন দায়রা জজদের ২৩তম বিচার প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা চাই বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। দুটি কারণে আমরা চাই বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। প্রথম কারণ হলো, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। কেননা, আইনের শাসন ছিল না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করার পরও ২১ বছর তিনি কোনও এজাহার করতে পারেননি। একটা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স করা হয়েছিল, যেন ওই হত্যার বিচার না হয়। এক্ষেত্রে আইনের শাসন যেন সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেজন্য আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’

দ্বিতীয়ত আমরা চাই, বিচার বিভাগ হলো জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল, সেখানে বিচার বিভাগের কাজ স্বাধীন হবে। তাহলেই মানুষ বিচার পাবে। সেজন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার ব্যাপারে আমরা কোনও কম্প্রোমাইজ করবো না।’

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর আমাদের যে সংবিধান পাস করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেখানে (সংবিধানে) বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ হয়। কিন্তু পৃথকীকরণের মাধ্যমে কি স্বাধীন হয়েছিল বিচার বিভাগ? আপনাদের একই কক্ষ ভাগাভাগি করে বিচারকাজ পরিচালনা করতে হতো। বসার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। কিন্তু ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছিলেন। বিচারকদের অপ্রতুলতা ছিল। সেখানে বিচার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিচারকদের স্বাধীনতা ও বেতন কাঠামো নিয়ে কাজ করা হয়েছে।’

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত জজদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে যা-ই বলি, প্রশিক্ষণের কোনও বিকল্প নেই। এখানে যে প্রশিক্ষণ হচ্ছে, সেখানে মানিলন্ডারিং সম্পর্কে যে প্রশিক্ষণ হচ্ছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এটা একটি নতুন অপরাধ।’

অধস্তন আদালতের জজদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাবেক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদ।

/বিআই/এপিএইচ/চেক/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জনগণ এনডিএ জোটকে একচেটিয়া ভোট দিয়েছে: মোদি
জনগণ এনডিএ জোটকে একচেটিয়া ভোট দিয়েছে: মোদি
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
অতিরিক্ত মদপানে লেগুনাচালকের মৃত্যু
অতিরিক্ত মদপানে লেগুনাচালকের মৃত্যু
পূজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত
পূজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া