প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবেই দেখেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ আমার কাছে যতটা না মূল্যবান তার চেয়ে এটি একটি বড় সুযোগ জনকল্যাণের এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মানুষের সেবায় এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অবশ্যই এগিয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল এবং এটি একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজকে আমরা এই সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি এবং বিশ্বের বহু দেশ এখন বাংলাদেশ অনুকরণ করতে চাইছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমার সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে উন্নয়নের এই গতিকে অব্যাহত রাখা। আমরা অবশ্যই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব এবং অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা আজকের অবস্থানে এসেছি এবং কেউই এই গতিকে রুখতে পারবে না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, এই স্বাধীনতা কখনই ব্যর্থ হতে পারে না। আমরা দেশের প্রত্যেকটি ঘরে স্বাধীনতার এই সুফলকে পৌঁছে দিতে চাই এবং এই দেশের আর কোনও মানুষ দরিদ্র থাকবে না, অনাহারে কষ্ট পাবে না।’
শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের অংশ ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’র উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর ১০১ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের ঘনিষ্ঠ পরিবার-পরিজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসাকে দেখতে যান। বাসস